ব্রিকস জোটে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্তির বিরুদ্ধে ভারত। এই জোট আরও বড় হলেও আপত্তি নেই জোটের অন্যতম সদস্যদেশ ভারতের। কিন্তু পাকিস্তানকে জোটভূক্ত করতে চায় না দেশটি।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের আগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানেই ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে নিয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।
ব্রিকসেন সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- ভারত, রাশিয়া, চীন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৪ জুন ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর একটি বৈঠক হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পাকিস্তানের ব্যাপারে চীনের সমর্থন থাকলেও নয়াদিল্লির আপত্তিতেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পর্যবেক্ষক হতে পারেননি।
ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর পাশাপাশি ওই বৈঠকে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান, মিশর, ফিজি, আলজেরিয়া, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া রাষ্ট্রনেতারা।
বিশ্বের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২৫ শতাংশেরও বেশি ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত জিডিপি। ‘ব্রিকস নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক’ (এনডিবি)-কে আরও প্রসারিত করার বিষয়টি নিয়ে এ বারের শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন ব্রিকস কাঠামোকে ঢেলে সাজানো, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে ব্রিকস একটি উদাহরণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ব্রিকসের সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে মোদি, জিনপিংয়ের আলোচনায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তানের নাম আলোচনায় আনতে চাইছে না ভারত।