লিভিং ইনসাইড

কতটা পানি খাব, কেন খাব?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/01/2018


Thumbnail

`পানির অপর নাম জীবন’এই প্রবাদ সবখানে প্রচলিত। কথাটা নি:সন্দেহে সত্যি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খেলে শরীরে নেতিবাচক পরিবর্তনহতে শুরু করে, যার প্রভাবে একাধিক অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কতোটুকু পরিমাণে পানি পান করা উচিত। প্রাপ্ত বয়স্কের শরীরে প্রায় ৬০ শতাংশই পানি থাকে। আর তাই শরীরকে সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা আবশ্যক।

শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে মস্তিস্ক, ফুসফুস, পেশী, ত্বক- অর্থাত শরীরের কোনো প্রত্যঙ্গই ভালো ভাবে কাজ করবে না। পুরো শরীরের কাজের সমস্যা দেখা দেবে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে, শরীরের প্রতিটি অংশে পুষ্টি পৌঁছে দিতে, শরীরের ক্ষতিকর উপাদান এবং বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে, স্যালাইভার উৎপাদন বাড়াতে,জয়েন্টের সচলতা বজায় রাখতে এবং দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে সুরক্ষা প্রদানে সাহায্য করে থেকে। আর তাই পানির কোনো বিকল্প হয়না।

এখন জানা দরকার দিনে কতোটুকু পানি খাওয়া দরকার। ফল, চা, কফি, দুধ, জুস দিয়েও অনেক ক্ষেত্রে পানির ঘাটতি দূর করা যায়। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের প্রকাশকরা রিপোর্ট অনুসারে মহিলাদের প্রতিদিন ২.৭-৩ লিটার এবং পুরুষদের ৩.৭-৪ লিটার পানি পান জরুরি। এই পরিমাণ পানি পান করা শুরু করলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ারপাশাপাশি যে যে শারীরিক উপকারিতাগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা হল-

১. এনার্জির ঘাটতি দূর করে: শরীরকে চনমনে রাখতে পানির কোনও বিকল্প হয় না। আসলে আমাদের মস্তিষ্কের বেশিরভাগ অংশই পানি দিয়ে তৈরি। তাই তো পানির ঘাটতি দেখাদিলে মস্তিস্ক আর কাজ করতে পারেনা। ফলে শরীরেরও সচলতা কমতে থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তিএবং মনযোগ ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটে। সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়তে শুরু করে।

২. ওজন হ্রাস পায়: অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পানির কোনও বিকল্প হয় না। আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া শুরু করলে চর্বির বাই প্রোডাক্টরা দেহ থেকে বেরিয়ে যেতেশুরু করে। সেই সঙ্গে ক্ষুধাও কমে যায়। আর কম মাত্রায় খেলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশের মাত্রাও কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে না। প্রসঙ্গত, দেহেপানির ঘাটতি কমতে থাকলে মেটাবলিজম রেটও বাড়ে। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৩. শরীর বিষ মুক্ত হয়: সারাদিন ধরে নানাভাবে টক্সিক বা অ্যাসিডিক উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করে, যা ঠিক সময়ে শরীর থেকে বেরিয়ে না গেলে ভাইটালঅর্গ্যানদের ওপর খারাপ প্রভাব পরে। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।? সঠিক পরিমাণ পানি খেলে প্রস্রাব এবং ঘামের পরিমাণ বাড়তেথাকে। ফলে টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। আর এমনটা হওয়া মাত্র শরীর খারাপ হাওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ক্যান্সার কোষের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনাওহ্রাস পায়।

৪.ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে: শরীরে জলের ঘাটতি দূর হলে ত্বকের ভিতরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বক তার হারিয়ে যাওয়া আদ্রতাও ফিরেপায়। ফলে বলিরেখা যেমন কমে, তেমনি ত্বকের উপর বয়সের ছাপও পরতে পারে না।

৫. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে: একাধিক গবেষণায় দেখায় গেছে নিয়মিত ৩-৪ লিটার পানি পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যেরোগ ভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। তাই সুস্থভাবে বাঁচতে থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে ভুলে গেলে চলবে না।

বাংলা ইনসাইডার/ এসএইচ/জেডএ
   



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭