ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৩


প্রকাশ: 06/07/2022


Thumbnail

পঞ্চগড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার পর রাতে সেখান থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

আটকরা হলেন, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা সদরের বড়দাপ এলাকার কলিম উদ্দীনের ছেলে মোকসেদুর রহমান (২৮), একই উপজেলার ছোটদাপ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আহসান হাবিব (২৮) এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি এলাকার বাবর আলীর ছেলে বেলাল উদ্দীন (৩৮)। এদের মধ্যে মকসেদুর রহমান ও আহসান হাবিব পরীক্ষার্থী এবং বেলাল উদ্দীন নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতি চক্রের অন্যতম হোতা বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে পরীক্ষার্থী মকসেদুর রহমান ও আহসান হাবিবের মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখার সঙ্গে তাদের লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার অমিল পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অন্যের দ্বারা দেওয়া হয়েছিল এবং এজন্য তারা মোটা অংকের টাকাও লেনদেন করেছেন বলে স্বীকার করেন।

অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দেওয়া এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে মূল হোতা হিসেবে বালিয়াডাঙ্গির বেলাল হোসেনও জড়িত। এরপর কৌশলে তাকেও ডেকে এনে তিনজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি এবং বাংলায় কয়েক লাইন হাতে লেখার কথা বলা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়াসহ যেকোনো অনিয়ম ঠেকাতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র জমা নেওয়া এবং মৌখিক পরীক্ষাতেও একইভাবে লিখতে বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকের কাছে জালিয়াতির ঘটনাটি ধরা পড়ে।

পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিনজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আটক হন। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রাতে তাদের থানায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, লিখিত পরীক্ষায় হাতের লেখার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাদের হাতের লেখা দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং এজন্য তারা মোটা অংকের অর্থ লেনদেন করেছেন বলেও স্বীকার করেন। শান্তিপূর্ণভাবে সকলের পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা হয়। পরে কৌশলে এমন জালিয়াতির মূলহোতা বেলাল হোসেনকে ডেকে এনে তিন জনকেই পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭