পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেছেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে তাতে আমাদের অনেক গবাদি পশু মারা গেছে। অন্যদিকে এই বন্যা পরিস্থিতি বন্যার পানি এবং মানুষের মলমূত্র সবকিছু মিশে একাকার হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে পানি কমে গেলে মানুষের মলমূত্রগুলো পরিবেশের উপাদানগুলোর সঙ্গে মিশে যাবে। যেটা মানুষ এবং পরিবেশ উভয়ের ওপর ক্ষতিক্ষর প্রভাব রাখবে। এছাড়া বন্যায় কৃষিসহ অন্যান্য আরও অনেক কিছুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগুলো থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের কিছু উদ্যোগ নিতেই হবে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে। নগর বা পৌরসভার মধ্যে যে সমস্ত জায়গাগুলোতে এ সমস্ত কিছু মিশে দূষণ সৃষ্টি করতে পারে, সেজন্য ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দূষণ মুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতির পববর্তীতে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান। পাঠকদের জন্য প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, বন্যার দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে। কারণ এবারই যে বন্যা হলো এবং আরও হবে না, এমন কিন্তু নয়। ভবিষ্যতে আবারও বন্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মানুষের পাশাপাশি আমাদের গৃহপালিত পশুদের জন্যও আলাদা আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ বন্যার সময় গবাদি পশুর জন্য আলাদা জায়গা না থাকার কারণে মানুষ এবং গবাদি পশু এক সঙ্গে থাকছে। অর্থাৎ মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুদের জন্যও আশ্রয় কেন্দ্র রাখা উচিত। হাওরের এবারের বন্যা প্রমাণ করে দিল যে হাওরে এভাবে কোনো রাস্তাঘাট নির্মাণ করা যায় না, আমরা যেভাবে করছি। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে হাওরে নতুন করে সড়ক নির্মাণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি হাওরাঞ্চলের সব সড়ক এলিভেটেড নির্মাণ করতে বলেছেন। আবার এর নিচ দিয়ে যদি রাস্তা করা হয় তাহলে পুরো ইকো সিস্টেমটা ধ্বংস হয়ে যাবে। পর্যাপ্ত পানি যাতায়াত করার ব্যবস্থা থাকবে না। এগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের পরিবশে রক্ষা করতে পারবো।