করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়েই এক ধরণের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো করোনার ছোবলে অর্থনৈতিক সংকটসহ নানাবিধ সংকটের মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্য হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এক প্রকার দেউলিয়া হয়ে গেছে শ্রীলংকা, পাকিস্তানেও রয়েছে বিদ্যুৎ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরণের সংকট। ভারতেও বিরাজ করছেন চরম অস্থিরতা। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার জের ধরে ভারতজুড়ে চলছে চরম উত্তেজনা, কোথাও কোথাও সেটি দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে। ভারতের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্কেরও ঘটেছে অবনতি। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও চলছে অস্থিরতা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পর্কে মার্কিনীদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়ে গেছে। সম্প্রতি এপি-নর্ক সমীক্ষায় বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন নাগরিক তাদের শাসকদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট। এই সব সংকটের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি ঘটনার জেরে সরকার ও নিজ দলের নজিরবিহীন চাপে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে এই অস্থিরতার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশেও। বিশ্বের অস্থির রাজনীতি, অর্থনীতির ফলে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষের মধ্যে এক ধরণের অস্থিরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্ব বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে শতভাগ বিদ্যুতের মাইলফলক স্পর্শ করা পরও দেশে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। লোডশেডিং বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের জন্য একটি নতুন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত এত সংকটেরও পরও দেশের মানুষের এখনো আস্থার জায়গায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এত সংকটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় নিজ টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। ফলে দেশের মানুষের আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর বেড়েছে বহুগুণে। তাই লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংকট থাকলেও দেশের মানুষ অতটা চিন্তিত নয়। দেশের মানুষ বিশ্বাস করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে সকল সংকট-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পদ্মা সেতু করেছে, তেমনি বিশ্ব অস্থিরতার ফলে সৃষ্ট বর্তমান এই সংকটও তিনি দৃঢ়তার সঙ্গেই মোকাবেলা করবেন।