আজ থেকে শুরু হচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনার দিন পবিত্র 'হজ'। এটি মুসলমানদের জন্য একটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদাত। এটি ইসলাম ধর্মের চতুর্থ স্তম্ভ। তাই শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমানদের (নর-নারীর) জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ বা আবশ্যিক।
প্রতিবছরই পবিত্র হজ পালন করতে লাখ লাখ মানুষ মক্কায় যান। এর মধ্যে আবার অনেকেই আছেন যাদের হজ পালন করা ফরজ নয়। তবে আল্লাহর প্রেমে সাড়া দিতে অনেক কষ্ট করে যারা হজ পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় যান তাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া জরুরী।
পবিত্র নগরী মক্কার হারাম সীমানায় সামান্য ভুলে যে কারো হজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর যদি কোনো কারণে হজ পরিপূর্ণ না হয় তাদের জন্য আবার হজ করা আবশ্যক হয়ে যায়। তাই হজ পালনকারী বা হাজিদের উচিৎ সামর্থ থাকুক কিংবা না থাকুক পবিত্র নগরী মক্কার হারাম সীমানায় যেসব কাজগুলো করা নিষিদ্ধ তা সতর্কতা অবলম্বনে মেনে চলা। যে কাজগুলো করা নিষিদ্ধ তা তুলে ধরা হলো-
১. শিকারযোগ্য যে কোনো হালাল জানোয়ার হত্যা করা হারাম।
২. শিকারযোগ্য প্রাণী হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ কিংবা ইসারা-ইঙ্গিত করে দেখিয়ে দেওয়ার দ্বারা সাহায্য করাও হারাম।
৩. হারাম সীমানায় গাছ কাটা এমনকি তাজা ঘাস কাটা বা ছেঁড়াও হারাম।
৪. হারাম সীমানায় কোনো জিনিস পড়ে থাকলে সেটা ওঠানোও যাবে না। তবে ওই ব্যক্তি তা ওঠাতে পারবে; যে তার প্রকৃত মালিকের সন্ধান দিতে পারবে।
হাদিসে পাকে এসেছে- নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘এই শহর অর্থাৎ মক্কা নগরী আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় কেয়ামতের দিন পর্যন্ত হারাম। উহার গাছ কাটা, শিকারযোগ্য জানোয়ারকে ধাওয়া করা এবং তাজা ঘাস কাটা যাবে না; পড়ে থাকা দ্রব্য-সামগ্রীও ওঠানো যাবে না; কেবল ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে উহার হারানো বস্তু সম্বন্ধে যথারীতি প্রচার ও ঘোষণা করতে প্রস্তুত থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
মনে রাখতে হবে কাজগুলো শুধু কাবা শরিফের চত্বরেই নয়, বরং মিনা-মুজদালিফাও হারাম সীমানার অন্তর্ভূক্ত। তবে আরাফাতের ময়দান হারাম সীমানার অন্তর্ভূক্ত নয়।
সুতরাং হজ পালনকারী বা হাজিদের এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যেন কোনোভাবেই মক্কার হারাম সীমানায় এসব কাজ সংঘটিত না হয় সেদিকে হাজিদের নজর রাখা উচিৎ।