ইনসাইড বাংলাদেশ

২০০৫ এ খাম্বা দুর্নীতি, ২০২২ এ শতভাগ বিদ্যুাতায়ন


প্রকাশ: 08/07/2022


Thumbnail

১৯৯৬ সাল। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত নাজুক। লোডশেডিং ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। সে অবস্থা উত্তরণের বিদ্যুৎ খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগ সহ বিদ্যুৎ খাতের কাঠামোগত সংস্কার করে উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতকে আলাদা করে সংস্থা ও কোম্পানি গঠন করে শেখ হাসিনা সরকার। বিদ্যুৎ খাতের ন্যায় জ্বালানি খাতেও কাঠামোগত সংস্কার করে নানাবিধ সংস্থা ও কোম্পানি গঠন করা হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১, এই সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অনেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন উন্নীত হয় ১,৬০০ থেকে ৪,৩০০ মেগাওয়াটে । ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য প্রণয়ন করেন “PRIVATE SECTOR POWER GENERATION POLICY OF BANGLADESH”। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি অংশগ্রহণ প্রায় ৫০ ভাগ। 

এরপর ২০০১-২০০৮ সালে আবার চেনা রুপে ফিরে বিদ্যুত খাত। বিদ্যুতের অভাবে অর্থনীতি ছিল পর্যুদস্ত, শিল্প, বাণিজ্য ছিল স্থবির এবং জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং এর কবলে মানুষের জীবন ছিল অসহনীয়। অথচ শুধুমাত্র ব্যবসায়িক ফায়দা লুটার জন্য মাইলের পর মাইল বিদ্যুতের খাম্বা আর তার লাগানো হয়েছিল। শুধু বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণেই ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে হত্যা করা হয় ২০ জন সরলপ্রাণ গ্রামবাসীকে। সেপ্টেম্বরে দেশের ৪০টি জেলার সাধারণ মানুষের ওপর একযোগে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের পেটোয়া বাহিনী। এভাবেই হত্যা ও খুনের রাজত্ব কায়েম করে- দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবিয়ে- কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে তারেক রহমান ও তার বন্ধুরা।

২০০৯ সাল। সারাবিশ্বে তখন ভয়াবহ মন্দা। এই ভয়াবহ অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন দিন বদলের সনদ ২০২১ ‘রূপকল্প’। নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিলেন ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। প্রতিশ্রুতি রেখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ঘরে পৌঁছেছে বিদ্যুত। এখন গোটা দেশে মোট জনসংখ্যার ৯৯.৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। গত ২১ মার্চ দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ গুণ। শুধুমাত্র গত ১৩ বছরেই উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে ৫ গুণ। উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, ১৪ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে এবং নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২ হাজার ৯৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২০টি প্ল্যান্টের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ চলছে। এছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশে প্রায় ৪০টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি রয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে তুলনামূলকভাবে লোডশেডিং বেড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক খোলাবাজার বা স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে না। এখন আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনফুট ৩৮ ডলার হয়েছে। যা উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। তবে দেশে যে পমিাণ বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে তাতে সবাই একটু সাশ্রয়ী হলে পরিস্থিতি অনায়াসে সামাল দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭