ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন বাহিনীর প্রধান হতে চেয়েছিলেন মঈন ইউ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/01/2018


Thumbnail

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম জিয়ার পক্ষের কৌসুলী, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলী প্রথম অভিযোগটি উত্থাপন করেন। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের উৎসাহে এই মামলা করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করেন। মূলত: বেগম জিয়ার নির্দেশেই বেগম জিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ আলী আদালতে সাবেক সেনাপ্রধানকে অভিযুক্ত করেন। একাধিক সূত্র বলেছে, বেগম জিয়া সাবেক সেনাপ্রধান সম্পর্কে ১০ মিনিট তাঁর আইনজীবীদের ব্রিফ করেন। বেগম জিয়া জানান, মঈন ইউ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অর্থাৎ তিন বাহিনীর প্রধান হতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি আইন পরিবর্তনের জন্যও সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বেগম জিয়া এতে রাজি হননি। তখনই জেনারেল মঈন ইউ ‘বিট্রে’ শুরু করেন বলেও বেগম জিয়া মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয় সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এসময় জেনারেল ওসমানীকে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর এই পদ বিলুপ্ত হয়। এখন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা সমমর্যাদার এবং একই র‌্যাংক বহন করেন। ১৫ জুন ২০০৫ সালে বেগম জিয়া ৭জন সেনা কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে জেনারেল মঈনকে সেনা প্রধান করেন। বেগম জিয়া স্মৃতিচারণ করে তাঁর আইনজীবীদের বলেছেন, কেয়ার টেকার সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের এক পর্যায়ে জেনারেল মঈন বেগম জিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। জেনারেল মঈন ২২ জানুয়ারির (২০০৭) নির্বাচনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে তিন বাহিনীর প্রধান করার প্রস্তাব করেন। বেগম জিয়া বলেছেন, ওই প্রস্তাব গ্রহণ না করায় মঈন ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র করে।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭