প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেছেন, এ বছর কোরবানির হাটের জন্য গরু, ছাগল, ভেড়া ও উট মিলিয়ে ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এবার কোরবানির হাটের জন্য গবাদিপশুর সরবরাহের সংখ্যা দুই লাখের বেশি বাড়ানো হয়েছে। গত বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে কোরবানি হয় ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু। আমরা আশা করছি এবার গতবারের চেয়েও বেশি পশু বিক্রি হবে। আর সেই টার্গেট নিয়েই আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি হাটে কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত গবাদি পশু আছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেনের পদ্ধতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। পাঠকদের জন্য ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, এবার কোরবানির পশুর হাটে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের পাইলট প্রকল্প ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ কার্যক্রম নিয়ে এসেছি। এর মাধ্যমে কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৬টি পশুর হাট (গাবতলি, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নং সেক্টর) এবং সারা বাংলাদেশে বড় তিনটি হাট রয়েছে। এগুলো হলো কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং রাজশাহী। এই তিনটি হাটে আমরা ডিজিটাল ট্রানজেকশন করছি। ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক হাটগুলোতে একযোগে কাজ করছে। এছাড়া মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে থাকছে বিকাশ লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক এম ক্যাশ।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি হাটে একটি করে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস এ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা বুথে থাকা এটিএম মেশিন থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করেও বিক্রেতাকে পশুর দাম পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে ক্রেতারা ইজারাদারদের হাসিলের নগদ অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।