‘আবহাওয়ার কারণেই এখন ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর হচ্ছে’

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, আবহাওয়ার কারণে এখন ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর হচ্ছে। এটা মৌসুমি জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে। ডেঙ্গু ও করোনা হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। টাইফয়েডের আশঙ্কাও রয়েছে। অন্যদিকে ঈদযাত্রায় মানুষজন এই গরমের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে গ্রামে গেছেন, এখন আবার ঢাকায় ফিরে আসছেন। এ সময় অনেকে অনেক ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। ঈদের সময় মানুষের খাওয়া-দাওয়ার একটা ঝামেলা গেছে, এ সময় খাওয়া দাওয়ায় কারো কোনো ধরাবাধা নিয়ম ছিল না, আবার অনেকই মানেননি। এদিকে বাইরে এখন প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এই গরমের কারণেও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গরমের কারণে সর্দি-জ্বরও হচ্ছে। বিশেষ করে যারা বাইরে রোদে কাজ করেন, এসময় তাদের অনেকে ঘাম ঝরে। বাইরের গরম এবং রোদ থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকে আবার রাস্তাঘাটে থেকে শরবত কিনে খাচ্ছেন, যেগুলো মোটেও স্বাস্থসম্মত নয়। এই কারণেও অনেকে অসুস্থ হচ্ছেন। এই শরবতগুলোর কারণে অনেকের ডায়রিয়াও হচ্ছে। 

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এখন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে রোদে বের হওয়া যাবে না। বিশেষ করে যারা বাচ্চা, বয়স্ক, অসুস্থ তাদেরকে আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। যারা বাইরে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করেন বিশেষ করে রিক্সাচালক বা শ্রমিকেরা, তারা যেন একটানা রোদে কাজ না করেন। কারণ এই গরমে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। সেজন্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছায়ায় একটু বিশ্রাম নিতে হবে। প্রয়োজনে মাথায় কাপড় ব্যবহার করতে হবে। আর প্রচুর পানি পান করতে হবে। কারণ এই সময়ে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়ে যায় এবং ঘামের সাথে শরীর থেকে লবণও বেরিয়ে যায়। সুতরাং পানির সাথে একটু লবণ মিশিয়ে খেলে ভালো হবে। 

তিনি আরও বলেন, এখন ডেঙ্গুর মৌসুম। সেদিকটাও আমাদের বিশেষ নজরে রাখতে হবে। নিজেদের ঘর নিজেদেরকে পরিষ্কার রাখতে হবে আর বাইরের বিষয়টা প্রশাসন দেখবে। কোনোভাবেই যেন এডিশ মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে। পাশাপশি যেহেতু করোনার সংক্রমণ চলছে সেজন্য সবসময় স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করলে শুধু করোনা থেকে নয় অন্যান্য রোগ থেকেও রক্ষার পাওয়া য়ায়।