বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বিএনপি তার কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মীদের বার্তা দিচ্ছে যে, কূটনীতিকরা আমাদের পক্ষে আছেন। কিন্তু এই বিদেশি কূটনৈতিকরা বিএনপিকে মনে করেন একটা প্রতারকের দল, ভণ্ডের দল, মিথ্যাচারের দল, ষড়যন্ত্রকারীর দল। তার উদাহরণ হচ্ছে, কিছুদিন আগে জার্মান রাষ্ট্রদূত যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্য। আমি রাজনীতি করলে জাতীর কাছে ক্ষমা চাইতাম। একজন রাষ্ট্রদূত বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্যের বক্তব্যকে ডিফার করেছেন। শুধু তাই নয়, বিএনপি তার কর্মীকে চাঙ্গা করার জন্য ৬ জন সিনেটরের জাল স্বাক্ষর করে তারেক জিয়ার স্পেশাল উপদেষ্টা বিবৃতি দিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে। পরে সিনেটররা সেই বিবৃতির নিন্দা জানিয়েছিলেন, বিএনপি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছিল।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি’র সঙ্গে বিএনপির বৈঠকসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি আরেকটা করেছিল, অমিত শাহ ফোন দিয়েছেন খালেদা জিয়াকে, এটা প্রত্যেক পত্রিকায় এসেছিল। কিন্তু অমিত শাহ বলেছেন, বাংলাদেশ শুধু নয়, কোন দেশের সাথেই ইদানীংকালে তার ফোনে আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেত্রী তো দূরের কথা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিদেশিদের নাম ব্যবহার করে তাঁরা তাদের কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে। কারণ, অতীতে খালেদা জিয়া যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলো, তাঁরা সেদিন নাটক করেছিল যে খালেদা জিয়া বাঁচবে না, কর্মীদের চাঙ্গা করে মাঠে নামানোর চেষ্টা করেছিলো। সেই নাটকেরও পরিসমাপ্তি হয়েছে। এই কারণে, বিএনপি রাষ্ট্রদূতদের সাথে দেখা করছে এবং একটি ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে।
বিএনপি বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার এক সময়ের সহকারী প্রেস সচিব আনসারী যুক্তরাজ্যে বসে তারেক জিয়ার সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় কনক সরোয়ারসহ সরকারের বিরুদ্ধে তারা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। যে সরকার দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দাবি ছিলো, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকাও জননেত্রী শেখ হাসিনার দাবি ছিলো, বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে, উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছে সেই সরকারের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।