ইনসাইড পলিটিক্স

বৈশ্বিক সংকটকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা


প্রকাশ: 24/07/2022


Thumbnail

মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে কিস্তিভিত্তিক ‘কুইক রেন্টাল’ লোডশেডিং চলছে। কেন এই লোডশেডিং সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে জনগনের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার এই নিয়ে কথা বলেছেন এবং জনগণকে মিতব্যয়ী হতে উৎসাহিত করেছেন। মূলত যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দেশের জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সাময়িকভারে স্থগিত রাখা হয়েছে। মোদ্দা কথা হলো দেশে চলমান বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব পড়েছে। যেটা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়ে এখন এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে বিরোধী শিবিরগুলো বৈশ্বিক এই সংকটকে দেশীয় রাজনীতির রং মাখানোর চেষ্টায় মেতে উঠেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে। আর তাদের এই হালে পানি ঢালছেন দেশের কিছু সুশীল অর্থনীতিবিদ। যারা কিনা দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো ভরসার করতে পারেন এবং দেশের অর্থনীতি নিয়ে সব সময় নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।

বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল লোডশেডিং নিয়ে যেভাবে কথা বলছে তাতে এই বৈশ্বিক সংকটকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অথচ এই সংকট দেশের অভ্যন্তীরণ বা সরকার সৃষ্ট কোনো সংকট নয়। বিরোধী শিবিরগুলো কর্তৃক লোডশেডিংয়ের কারণ আংশিকভাবে জনগণের কাছে তুলে ধরার কারণে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। শিগগিরই দেশ হয়তো শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। দেশে শুধু মাত্র ডিজেল নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়া নয়। তাই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এখন সারাবিশ্বে যে সংকট তৈরি হয়েছে তাতে সরকার উদ্যোগ নিলেও সমাধানের কোনো উপায় নেই। এই মুর্হূতে সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া বিকল্প তেমন কোনো পথ নেই। যেকারণে বিশ্বে অন্যান্য উন্নত দেশগুলোও এখন সাশ্রয়ী হওয়ার ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছে। তাছাড়া দেশের জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে মোট জ্বালানির মাত্র ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন হয়। যা আমরা একটু সাশ্রয়ী হলেই কভার করতে পারবো। সেটা না করে জ্বালানি আমদানিতে গেলে বরং উল্টো অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে বলে মত বিশ্লেষকদের।

দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে আছে, যেভাবে লোডশেডিং হচ্ছে তাতে দেশ শ্রীলঙ্কা হবে এমন মনোভাব পোষণকারীদের সমালোচনা করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার এখন অনেক বড় হয়েছে। অর্থনীতির উন্নতির সাথে সাথে এর চ্যালেঞ্জও বেড়েছে কিন্তু দেশে শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখন যা হচ্ছে তা হলো বৈশ্বিক একটা সংকটকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বস্তুত পদ্মা সেতুর বিরোধীতাকারীরাই বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানানোর পায়তারা করছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭