ইনসাইড থট

দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের স্তুতির কোনো প্রয়োজন নেই


প্রকাশ: 24/07/2022


Thumbnail

আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা এবং প্রায় সমস্ত মন্ত্রীরা খুব কমই আছে যারা ব্যতিক্রম। তারা বক্তৃতায় দাঁড়ালেই প্রধানমন্ত্রীর স্তুতির বন্যা বইয়ে দেন। অথচ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের দর্শন সম্বন্ধে তারা কমই আলাপ-আলোচনা করে। তারা অনেকেই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের দর্শন বোঝেন না অথবা বোঝার চেষ্টা করেন না। এর ফলে তারা কি করে তাদের বক্তৃতায় দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের দর্শন সম্পর্কে বলবেন সেটা একটা প্রশ্ন বটে। আসলে দশ পনের বছরের পুরনো ধাঁচের বক্তব্য এখন আর চলে না। এখন মানুষ অনেক সচেতন, এমনকি সাধারণ গ্রামের জনগণও সচেতন, তারা সবই বুঝেন। করোনার কারণে এখন হয়তো অনেক সভা প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে করেন। কিন্তু যখন নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে বক্তৃতা করেন এবং দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের স্তুতি করেন তখন তার ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে বোঝা যায় যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক স্তুতি একদমই পছন্দ করেন না। তিনি পছন্দ করেন কাজের কথা। বক্তব্যে এমন কিছু থাকতে হবে যাতে তিনি যেমন জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন তার সহকর্মীরা অর্থাৎ দলীয়কর্মীরাও যেন সে কাজটা করেন তিনি সেটা চান।

আমাদের দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক তার দর্শন নিয়ে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, নেতারা সেভাবে এগোতে পারছে না। বরং তারা কখনো কখনো এমন কথা বলেন যে, কাজগুলো আরও পিছিয়ে যায়। সম্প্রতিকালে এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী নিয়ে অনেকে অনেক বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে, যেগুলো বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলোতে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের দর্শন সম্পর্কে কোনো একটা লেখা ছিলো না। সেই আগেকার পুরনো আমলের মতই একই বিষয় প্রচার করা হয়েছে। কেউ কেউ বড়জোর দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের সাহসের কথা বলেছেন মাত্র। তিনি একজন সাহসী ব্যক্তির মত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু সাহস তো ডাকাতেরও থাকে। তাহলে নতুন কি হলো। পদ্মা সেতু করার পিছনে তার দর্শন, সে সম্বন্ধে কিন্তু কেউ কিছু বলেনি। এইভাবে একের পর এক বিভিন্ন উদাহরণ দেওয়া যাবে। আমি মূল কথায় আসার আগে একটি উদাহরণ দিতে চাই, যাদের দায়িত্বই হচ্ছে পত্রিকায় কি ছাপা হলো তা দেখা তাদের মধ্যে খুব উঁচু মাপের এক ব্যক্তিকে আমি পত্রিকার একটি এডিটোরিয়াল সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি উত্তর দিলেন যে, উনার সেদিন পত্রিকা পড়াই হয়নি। উনি পত্রিকাগুলো রাতে বাসায় নিয়ে যাবেন এবং রাত্রে পড়বেন। এমনিতেই এখন প্রিন্টিং মিডিয়াতে দেরিতে খবর আসে। এখন অনেকেই মনে করেন যে, আমলাদের দিয়ে অনেক কাজ করা হচ্ছে। রাজনীতিবিদ বা যারা বুদ্ধিজীবী তাদেরকে দিয়ে করানো হয় না কেন। এখন আমি একজন প্রফেশনাল লোকের উদাহরণ দিলাম। এই বুদ্ধি নিয়ে যারা চলে তাদের চেয়ে যদি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দর্শন কোনো আমলা সঠিক ভাবে বুঝিয়ে তাকে সাকসেসফুল করতে পারে তাহলে তাকে একটি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। তাহলে তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিতে কোন বিকল্প নাই। তাহলে তো ওই আমলাকে দিয়েই করতে হবে। বাস্তব অবস্থা হচ্ছে এই যে, বর্তমানে বাংলাদেশের সত্যিকারে বুদ্ধিভিত্তিক যেকোনো কাজ করার মতো লোকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আগে ছিল যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই সব জায়গা থেকে অনেক বুদ্ধিজীবী পাওয়া যেত এবং তারা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কাজ করতো।

সম্প্রতিকালে বিভিন্ন জায়গায় ভাইস-চ্যান্সেলর যাদের করা হয়েছে, আমার মতে সেই ভাবে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের দর্শন নিয়ে তারা যেকোনো রকম বক্তব্য দিয়েছেন বা তাদের কোনো কাজের প্রতিফলন হয়েছে এরকম আমি কিছু দেখতে পাই না। বরং শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে, পুলিশের লোকজন যারা অস্ত্র নিয়ে চলে তারা বরং নেত্রীর অনেক দর্শনের কথা বলে। আর্মির অনেকের বক্তব্য দেখেছি, সেখানেও তারা দর্শনের প্রতিফলন করার চেষ্টা করেন। তাহলে এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পথ কি খোলা আছে? তার রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে তার ক্যাবিনেটের সকল সদস্যরা, এমনকি দলের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তারা আমার মতে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দর্শনকে ঠিকমতো নিজে অনুধাবন করে কর্মীদের মধ্যে সেটাকে প্রতিফলিত করবে। এখন নিজেই যদি দার্শনিকের নিদর্শন অনুধাবন করতে না পরেন, সেটা যদি আত্মস্থ করতে না পারেন এবং নিজের মধ্যে ধারণা করতে না পারেন তাহলে তিনি কি করে কর্মীদের বলবেন। একজন যিনি মন্ত্রী, তিনি যদি না বুঝেন তাহলে তিনি তার কর্মীদের মধ্যে যাকে তিনি কাজ করাবেন সচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের ভিতর তিনি কী করে সে দর্শনটা ঢুকাবেন। সুতরাং এখানে কেউ পছন্দ করুক আর না করুক আমি চিরকালই স্পষ্ট কথা বলি আমার বিশ্বাস যে কেউ এখন পর্যন্ত সিরিয়াসলি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের দর্শনগুলো বোঝার চেষ্টাই করছেন না। তিনি ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধের কথা একদিন বক্তৃতা দিয়েছেন এবং ইউক্রেনের যে যুদ্ধ হচ্ছে, এই যুদ্ধে শান্তি চান। যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান। আমেরিকার কেন বিশ্বের সব দেশের মানব অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন। কেননা তিনি যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বিভিন্ন যে খাবারের থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিসের ওপর। এছাড়া রাশিয়ার সাথে ব্যবসা করা যাবে না ইত্যাদি। পৃথিবীর সবাই এটা বুঝেছে কিন্তু কেউ বলেনি। তার কিছুদিন পরে কি ফল দেখলাম এতদিন যে কথাবার্তা হয়েছিল এখন অন্তত খাবারের ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। যার ফলে বিশ্ববাসী এই যুদ্ধের কারণে যে খাবারের ধরাবাঁধা ছিল তা আর এখন থাকছে না।

আমরা গ্লোবাল ভিলেজের কথা বলছি আর অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যার যার খাঁচার মধ্যে পড়ছি এবং এই বিষয়টি সবাই দেখছে কিন্তু কেউ ওই ভাবে দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমার মনে হয় শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ দেখেননি। অনেকে বলছে তিনি সাহস নিয়ে কথা বলেছেন। আসলে আমি বলব অবশ্যই এটা সাহসের ব্যাপার আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে এভাবে বলা। কিন্তু তারচেয়ে বড় যেটা সাহসের সোর্সটা কি। সোর্স হচ্ছে তার দার্শনিক চিন্তা ধারণা। তিনি দেখেছেন বিশ্বের সকল মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কাউকে না কাউকে তো কথা বলতে হবে। তিনি বলার পর রেজাল্ট আসছে এবং আমি নিশ্চিত আরও অনেক রেজাল্ট আসবে এবং শেখ হাসিনার দার্শনিক যে চিন্তা-ভাবনা তার প্রভাবেই এক সময় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। এই যুদ্ধ ৬/৭ মাসের বেশি স্থায়ী হবে না। কারণ সবাই বুঝেছে যে, যেটা দার্শনিক শেখ হাসিনা বলছে সেটাই হবে। যেমন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনিও বলেছেন, আমাদের আজকের অবস্থা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের একটি ফলশ্রুতি। সবাই কিন্তু এখন সেটা বুঝছে। আমাদের দেশে যে জিনিসটি এখন করা হয়েছে, সেটা হলো পত্রিকা পড়লেই বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন রকমের বক্তব্য। লোডশেডিং হচ্ছে এটা যেন একটা বিরাট খবর। এটা তো বিশ্বের খবর। এটার জন্য একটা আলাদা পেজ থাকা উচিত যেখানে বাংলাদেশের কথাও থাকবে। লোডশেডিং যে শুধু আমরা করছি এটা না। ইউরোপিয়ান জিজ্ঞেস করেছে যে আপনারা এই পর্যায়ে  সবচেয়ে কম প্রয়োজন সেই সময় বলছে এনার্জি ১০ শতাংশ সাশ্রয় করার কথা বলছে আর যখন দুই মাস পার হবে তখন তো বলবে ফিফটি পার্সেন্ট সাশ্রয় করার কথা। দার্শনিক শেখ হাসিনা তার কোন অভিধা লাগেনা। শুধুমাত্র দার্শনিক বললেই চলে। তিনি তার দার্শনিক চিন্তাধারা দিয়ে যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন সেটা ছাত্রজীবন থেকে আমি লক্ষ করেছি। একটি উদাহরণ হিসেবে বলছি, তিনি যখন ইডেন কলেজে ভিপি দাঁড়ান, তখন মোনায়েম খান গভর্নর ছিলেন এবং তার মতো এতো অত্যাচারী গভর্নর বাংলাদেশে আসেনি। গভর্নর মোনায়েম খান সরাসরি বলেছিল শেখ মুজিবের মেয়ে যদি নির্বাচিত হয় তাহলে এটা ছয়দফার ম্যান্ডেট হবে এবং মোনায়েম খান তিনি যেটা বলতেন সেটা তিনি করতেন। তখন আমি ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এবং আব্দুর রাজ্জাক জেলের বাইরে ছিলেন। অনেকেই আবার জেলের ভিতরে ছিলেন। আমার মনে আছে আমরা তাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম, নির্বাচনে দাঁড়ালেন আপনি তো হারবেনই কিন্তু এই হারা তো একটা বিরাট প্রভাব ফেলবে এবং মোনায়েম খানের জন্য একটা বক্তব্যে সুযোগ হবে কিন্তু তরুণী শেখ হাসিনা, জেদি শেখ হাসিনা দার্শনিক ভিত্তি নিয়ে বলেছিলেন যে, ঠিক আছে, যদি আমি জিতি তাহলে কি হবে? ছয়দফার ম্যান্ডেট হবে এবং তিনি জেতার জন্য কি করা দরকার সেটা করেছিলেন। পাশাপাশি আমরা তাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি সেটাও তিনি আমাদের বলেছিলেন। আমরা তখন মেডিকেলে পড়ি, কিছু টোস্টার লিখে দিয়েছি, কিছু সিঙ্গারা এনে দিয়েছি, বিরাট কিছু করিনি। কিন্তু আমরা যখন তার নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। তখন একটা বড় সমস্যা ছিল সেটা হলো মেয়েদের ভিতর সে সময় ছাত্রলীগের তেমন কর্মী ছিল না। শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে তখন একজন খুব শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দেওয়া হয়েছিল। আর এদিকে মোনায়েম খানের ধমক তো ছিলই। তার মধ্যে আজকের দার্শনিক শেখ হাসিনা ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ছয় দফার ম্যান্ডেট গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কিন্তু ছয় দফার প্রথম ম্যান্ডেট গ্রহণকারী। তখনকার আরও বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলি তার দর্শনের ভিত্তি। যা তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে মাধ্যমে পেয়েছেন এবং নিজেও তখন সেগুলো আত্মস্থ করেছেন।   যখন আমেরিকার কোন কোন বুদ্ধিজীবী বলছিল যে, যেসব দেশ গরিব তাদেরকে আমেরিকার সাহায্য দিয়ে তাদের ক্ষতি করা হচ্ছে অর্থাৎ তাদের স্বাভাবিকভাবে না খেয়ে মরে যাওয়া উচিত। সেটা কিন্তু আজকে যে প্রধানমন্ত্রী দার্শনিক শেখ হাসিনা ভুলেননি। তার পিতাও সেটা বলেননি। যার জন্য তিনি লোকের চিকিৎসার থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া প্রত্যেকটি বিষয় নিজে দেখ ভাল করছেন। এখনো যে কোন দেশের চেয়ে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যেটা একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যেখানে প্রশাসনিক কিংবা দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে সত্যিকার অর্থে কারো কিছু করার নেই। কিন্তু সে জায়গায় এমন ভাবে বলা হচ্ছে যে, ২০২৪ সালের আমাদের ঋণ কি হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কি যুদ্ধ চলবে নাকি। আর যুদ্ধ চলতে থাকলে তো পৃথিবীর অবস্থা অন্য রকম হয়ে যাবে। এখন এই গুলো বলা হচ্ছে সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। অনেক দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এমন দায়িত্বহীন কথাবার্তা বলেন, যেটা শুনে মনে হয় তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া উচিত।

আমাদের সংবিধান স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আছে কার কতটুকু দায়িত্ব রয়েছে।  আমি প্রথম থেকেই আমলাদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে অনেক লিখেছি, অনেক বলেছি। কিন্তু আমি মনে করি যে, এখন সময় এসেছে, যখন সেই স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে, পুলিশ থেকে শুরু করে, আর্মি থেকে শুরু করে, আমলা, সিভিল আমলা প্রত্যেকের বিষয়ে আলাদা আলাদা ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। ঢালাও ভাবে বললে পারে তাদের সকলের প্রতি অবিচার করা হয়। কারণ তারা তো ঢালাওভাবে কোন রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। তারা তো ঢালাওভাবে আমাদের বিরুদ্ধেও কিছু বলেছে না। তারা তো তাদের কাজে করে চলছে। তারা সেই কাজ করছে যেটা তাদের দেওয়া হয়েছে। যখন করোনার মহামারি শুরু হয়ে যায় অন্যান্য দেশে। আমাদের দেশে তো মহামারি হয়নি। তখন তো দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক একাধিক সোর্স রেখেছিলেন। যখন যে অবস্থা এসেছে তিনি করোনায় পৃথিবীতে প্রমাণ করে দিলেন যে একটা মহামারী কিভাবে তিনি ঠিকমত ফেস করতে পারেন এবং দেশকে বাচাতে পারেন। এটা পেরেছেন এই জন্য যে, তার খুব পরিষ্কার ধারণা ছিল, তার দার্শনিক ভিত্তি ছিল। তিনি একের পর এক সেই ভাবে এগিয়ে গিয়েছেন। এখন বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের ফলে অবস্থা দেখা দিয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার দার্শনিক ভিত্তি নিয়ে এগিয়ে চলেছে এবং সমস্ত মিডিয়া ও পত্রিকা যেহেতু নির্বাচন সামনে, তারা কিন্তু নির্বাচন টার্গেট করছে। কিন্তু নির্বাচন টার্গেট করে বা  আওয়ামী লীগ দলকে টার্গেট করে কোন লাভ নেই। সরকারকে টার্গেট করেও কোন লাভ নেই। টার্গেট করতে হবে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে। জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু করে এরশাদের আমলে প্রত্যেক সময় তাদের টার্গেট একজন। এক-এগারোতে প্রমাণ হয়েছে যে সবাইকে কেনা যায়, এক কেনা যায় না শেখ হাসিনাকে। কেন কেনা যায় না? কারণ তার দার্শনিক ভিত্তি আছে। তিনি দেশের জন্য দেশে পা দিয়েছেন এবং সেদিনই বলেছেন, এখনো বলেন, সকল সময় বলেন। বঙ্গবন্ধু বারবার বলতেন আমি মুসলমান, আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। যেকোনো সময় মৃত্যু আসলে আমি রাজি আছি। নেত্রীও একই কথা বলেন যে, আমি তো এসেছি আমার জীবন প্রয়োজনে দেশের জন্য দিব। আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ কি। আর এরা ভয় দেখায়নি, এরা বাস্তবভাবে তাকে নিকট থেকে গুলি করেছে এবং বিশেষ করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় তিনি যে বেচে যাবেন এটা তো একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। এমনকি নূর হোসেনের সময়, চিটাগাংয়ে, যে কোন জায়গায় তারা কিন্তু খুব ভালোভাবেই করেছে। এখন যেহেতু দেশের অবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে, এখন তারা মিডিয়ার উপরে ভর করেছে এবং মিডিয়াতে সামনে এনে তাদের টার্গেট একটাই সেটা হচ্ছে দার্শনিক শেখ হাসিনা এবং দুঃখের বিষয় হচ্ছে তাকে তার দর্শনকে ঠিকমতো বুঝে এবং জনগণের কাছে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খালি যখন কোন জেলায় কোন উপজেলায় যেকোনো জায়গায় আওয়ামী লীগের মিটিং হয় সেখানেই যায়। সারাদেশব্যপী তাদের যেতে কি নেত্রী নিষেধ দিয়েছেন, নাকি বলেছেন যাওয়ার দরকার নাই। তারা দল নিজেরাই সংগঠিত করে বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারে না বাংলাদেশে। যেমন কমিউনিটি ক্লিনিকে তো আমি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি মনে করি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমিতো সেই চর অঞ্চল থেকে শুরু করে, বরিশাল অঞ্চল থেকে শুরু করে, সব জায়গায় একের পর এক টিম করে করে আমি কভার করছি এবং দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের কি দর্শন সেটা তাদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।

অধিকাংশ লোক তারা মুখের কথা শুনতে চায়। যারাই মন্ত্রিপরিষদে আছেন, যারাই দলের বড় বড় পদে আছেন, তাঁরা দয়া করে দার্শনিক শেখ হাসিনার দর্শনটা বোঝার চেষ্টা করেন এবং তাকে তুষ্টির কোন দরকার নাই। বরং তার যে দর্শন সেটা জনগণের কাছে অবশ্যই পৌঁছে দেন। আপনারা গ্রামেগঞ্জে এখনই ছড়িয়ে পড়ুন, এখনই সময়। পত্রিকাতে কে কি লিখলো, না লিখলো তা দেখা বিষয় নেই। আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনে তারা যদি মাঠে ময়দানে ঠিকমতো নামে তাহলে এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী যারা একমাত্র বুদ্ধিকে বিক্রি করে খায় অর্থাৎ বুদ্ধি বিক্রয়কারী তারা কোনো কিছুই করতে পারবেন না। সুতরাং আপনারা দয়া করে আপনাদের বক্তব্যে সংযত হোন এবং বক্তব্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ বিরোধী কি ভুল ভ্রান্তি আছে সেটা ধরলে চলবে না। অবশ্যই রাজনৈতিক দল হিসাবে আপনাদের বিরোধী যারা তাদের বক্তব্যের যদি সঠিক উত্তর মুখপাত্র হিসেবে কেউ না দেন, তাহলে আবার সাধারণ লোকজন ভুল বুঝবে। ভাববে সেটাই ঠিক। সেজন্য উত্তর দিতে হবে কিন্তু সেটাই আপনাদের একমাত্র কাজ না। আপনাদের আসল কাজ হচ্ছে জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছানো। সেইটা আপনারা দয়া করে করেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭