ইনসাইড বাংলাদেশ

পূর্বে হেনস্তার শিকার হওয়া দুই ছাত্রীও বিচার চান


প্রকাশ: 25/07/2022


Thumbnail

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে দুই ছাত্রীকে হেনস্তা করেন ছাত্রলীগের চার কর্মী। তাঁরা হলেন আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল হাসান, দর্শন বিভাগের একই বর্ষের ইমন আহাম্মেদ এবং আর এইচ রাজু। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারী।

এর পর ১৯ সেপ্টেম্বর দুই ছাত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হেনস্তার অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগটি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ওই ঘটনার ১০ মাস পার হলেও এখনো বিচার হয়নি। তাই পূর্বের সেই দুই ছাত্রী তাদের হেনস্তার বিচার চান এখন।

তাদের মধ্যে একজন জানায়, হেনস্তার শিকার হওয়ার পর দফায় দফায় তাঁদের দুজনের সাক্ষাৎকার নেয় যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের অভিযোগ কমিটি। এরপর আর কিছু জানানো হয়নি। 

তিনি আরও জানায়, ঘটনার বিচার না করে প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া উল্টো গণমাধ্যমে তাঁদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এইদিকে প্রক্টর গণমাধ্যমে বলেন, ঘটনার পর তাঁরা (দুই ছাত্রী) অভিযুক্ত চারজনকে মাফ করে দিয়েছেন। তবে এ ধরনের কিছু হয়নি। তাঁরা কাউকে মাফ করেননি।

রোববার (২৪ জুলাই) প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানায়, অভিযোগ কমিটির এক সদস্য মাফ করে দেওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি গণমাধ্যমে এ কথা বলেন।যান

জানা গেছে, সর্বশেষ এক ছাত্রীকে নিপীড়নের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পর শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরের চারুকলা ইনস্টিটিউটে নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুই ছাত্রীকে হেনস্তার দায়ে চার শিক্ষার্থীকেই এক বছর করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও দুটি ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সতর্ক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সিদ্ধান্ত জানাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান জানায়, এসব সিদ্ধান্তের চিঠি তাঁর কাছে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌঁছায়নি। এ কারণে বিস্তারিত বলতে পারছেন না। অন্যদিকে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের সেলে তিনটি ঘটনার অভিযোগ জমা ছিল। তিন ঘটনাতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করেন পাঁচ তরুণ। ঘটনার দুই দিন পর মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এক দিন পর বুধবার (২০ জুলাই) ওই ছাত্রী হাটহাজারী থানায় মামলা করেন।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বুধবার থেকেই উত্তাল হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। রাতেই ছাত্রীরা হল থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবারও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একযোগে প্রতিবাদ করেন। এর মধ্যে র‍্যাব ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭