১৯৮৭ সালের কথা। আমি তখন বতসোয়ানায় কাজ করছিলাম এবং ছুটি কাটাতে নেদারল্যান্ডে আসি। আমি আর আমার সহধর্মিনী, হল্যান্ড থেকে গাড়ী চালিয়ে পশ্চিম বার্লিন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পশ্চিম জার্মানির বিচ্ছিন্য শহর পশ্চিম বার্লিনে পৌঁছানোর জন্য আমাদের পূর্ব জার্মানির আনেক পথ পাড় করতে হয়েছিল- পৌছে অবাক হয়ে দেখলাম- মানুষ আর পর্যটকে ভরা চরম ধনী, ব্যয়বহুল গাড়ি, উঁচু ভবন, সমস্ত ফ্যাশন ব্র্যান্ডের দোকান, ক্যাফে এবং নিয়ন আলোর পুঁজিবাদের নগ্ন প্রদর্শনের শহর পশ্চিম বার্লিন। সেখানে দুইদিন থাকার পর আমরা আমেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত চেক পয়েন্ট চার্লি পেরিয়ে পূর্ব বার্লিনে যাই - থমথমে শহর, অত সমৃদ্ধ শহর নয়, খুব কম লোক আর আমাদের মত হাতে গণা গুটি কয়েক পর্যটক। শুধুমাত্র লম্বা (এখনও ইউরোপের সর্বোচ্চ টাওয়ার) রেডিও গ্লোব টাওয়ার মাথা উচ করে দাঁড়িয়ে আছে যা পশ্চিম বার্লিন থেকে প্রাচীরের উপরে দেখা যায়। আমরা জার্মানির দুই দিক থেকে বার্লিন প্রাচীর দেখেছি। একটি কংক্রিট প্রাচীর দ্বারা বিভক্ত আকাশ পাতাল ভিন্নের এই দুটি শহর। জার্মানির একীকরণের ৩০ বছর পরে কী পরিবর্তন হয়েছে তা দেখতে, আমরা আবার সেখানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। গত সপ্তাহে এবার আমরা জেনেভা থেকে বার্লিনে উড়ে আসলাম। পশ্চিম বার্লিন এখনও একই সমৃদ্ধির শহর। পর্যটকদের জন্য প্রাচীরের ছোট জাদুঘর অংশটি ছাড়া, পূর্ব দিকে একীকরণের ৩০ বছর পরেও তেমন কিছু উন্নতি হয়নি। পূর্ব জার্মানির বিল্ডিংগুলো আমাকে সেই সমস্ত সোভিয়েত ব্লকের দেশগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে আমি গিয়েছিলাম, প্রায় একই রকম স্থাপত্য এবং নিদর্শন। এখন উপচে পড়া পর্যটকদের কারনে সেখানে প্রচুর বিভিন্ন দেশের রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে। তরুণ পর্যটকরা মূলত অনেক ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অ্যাপার্টমেন্টে থাকে যা পর্যটকদের আবাসনে রূপান্তরি হয়েছে। পশ্চিমের মত সেখানে তেমন কোন বড় হোটেল নেই। লম্বা গ্লোব টাওয়ারটি এখনও একই জায়গায় রয়ে গেছে। অবশ্যই, প্রদর্শনী হিসাবে নতুন আকর্ষণীয় সংসদ ভবন নির্মিত হয়েছে। বাস, ট্রাম, মেট্রো এবং ট্রেন পরিষেবাগুলির মতো পাবলিক ট্রান্সপোর্টগুলি ব্যাপক, সত্যিই ভাল এবং যে কেউ সহজেই সস্তায় ভ্রমণ করতে পারে। আমরা দুইজন একজন ব্রিটিশ ট্যুর গাইড নিলাম (সে পূর্ব বার্লিন এলাকায় ১০ বৎসর ধরে বাস করছে)। গাইড একজন আশ্চর্যজনক, প্রতিভাবান এবং মজার মানুষ (তিনি লিভারপুলের বাসিন্দা)। আমি তাকে বলেছিলাম আমি বাংলাদেশী এবং ইদানিং কালে তিন বছর লিভারপুলে কাজের জন্য বাস করেছি। সে আমাদের ৩০ বছরের পরেও একই অবস্থায় থাকা পূর্ব বার্লিনের ঐতিহাসিক এলাকা গুলো দেখাচ্ছিল। আমরা পূর্ব বার্লিন এবং সামগ্রিকভাবে পূর্ব জার্মানির জায়গা গুলো, তার পেছনের গল্প মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। সে অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। বার্লিন প্রাচীর পতনের পর থেকে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, পূর্ব জার্মানরা পশ্চিমের তুলনায় পিছিয়ে থাকার বিভিন্ন কারণ বলা হয়: একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পের অভাব, চাকরির অভাব, তরুণ শ্রমিকের অভাব। পূর্ব জার্মানরা দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যার ১৪% কিন্তু বড় বড় জার্মান কোম্পানি, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারে অভিজাত পদে তাদের কম প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টক এক্সচেঞ্জে বাণিজ্য করা ৪০টি ব্লু-চিপ ব্যবসার কোনোটিই, পূর্ব বার্লিনে কথা ছেড়ে দিন, সমস্ত পুর্ব জার্মানিতে নেই, যেখানে মাথাপিছু জিডিপি পশ্চিমের তুলনায় প্রায় ২২% কম। সম্প্রতি সেখানে টেসলা একটি বিশাল বৈদ্যুতিক গাড়ির কারখানা স্থাপন করছে। মানুষ আশা করছে যে এটি ভবিষ্যতে পুর্ব জার্মানির চিত্র পরিবর্তন করতে পারে। অনেক বিস্ময়ের সাথে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, একজন পূর্ব জার্মান অনেক বছর প্রধানমন্ত্রী (জার্মান চ্যান্সেলর) হিসেবে ছিলেন, এত দীর্ঘ সময় কী করেছেন তিনি?!
স্বাভাবিক ভাবে চলার পথে আলাপকালে ইউক্রেন যুদ্ধের কথা চলে আসে। আমাদের ব্রিটিশ ট্যুর গাইড, রাশিয়ার খুব সমালোচনা করলেন এবং অর্থনৈতিক অসুবিধা, পেট্রোলের দাম, খাবারের দাম এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের বৃদ্ধির জন্য রাশিয়া দায়ী বললেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার গ্যাস ও তেলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সঠিক এবং ইউরোপের এখন রাশিয়ান গ্যাস ও তেল ব্যবহার না করার জন্য সবকিছু করা উচিত। তিনি জোর দিয়ে আরো বললেন কমিউনিস্ট রাশিয়াকে অবশ্যই পরাজিত করতে হবে। রাশিয়া পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনকে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে এবং কোনো আপস করা উচিত নয় এবং রাশিয়া পরাজিত না হয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত হবে না। তিনি স্বীকার করলেন যে এই সংঘাত এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপীয় জনগণ কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু এই আত্মত্যাগ কমিউনিস্ট রাশিয়াকে পরাজিত করার জন্য অনেক মূল্যবান। তিনি বারবার কমিউনিস্ট শব্দের উপর জোর দিয়েছিলেন (আমি রাশিয়ায় ভ্রমণ করেছি এবং সেই সমস্ত নোংরা ধনী অলিগার্চ সম্পর্কে পড়েছি। আজ আমি জানি না যে রাশিয়া এখন কতটা কমিউনিস্ট বা এমনকি একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ)। যখন আমি জার্মানির নাম ধরে বড় বড় কোম্পানিগুলোর দুর্ভোগের কথা জিজ্ঞেস করলাম, যারা শত শত এবং হাজার হাজার লোককে নিয়োগ করে এবং তাদের উৎপাদন, প্রতিযোগিতা এবং টিকে থাকার জন্য সস্তা রাশিয়ান গ্যাস ও জ্বালানির ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের কথা, তিনি তার কণ্ঠস্বর নিচু করে প্রায় ফিসফিস করে (যেন আমরা পূর্ব জার্মান সিক্রেট সার্ভিস স্ট্যাসি দ্বারা বেষ্টিত) বললেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের বেঁচে থাকার জন্য সরকারের উপর চাপ দিতে শুরু করেছে, বলছে যথেষ্ট হয়েছে, এখনই সরকারকে নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করতে হবে। এটি অবশ্যই আমাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বের পরিস্থিতি, জার্মানির উপর নিষেধাজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক দুর্ভোগ এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির উত্থানের কথা মনে করিয়ে দেবে।
তার চিন্তাভাবনা খুব ইউরো কেন্দ্রিক ছিল - অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ সম্পর্কে কোন চিন্তা বা যত্ন তার মধ্যে ছিল না (আমি যদিও ভিন্ন চিন্তা ধারা আশা করছিলাম না)। আমি বোকার মত অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এই সংঘর্ষে ইউক্রেনীয়দের মৃত্যু এবং তাদের অবকাঠামোর ব্যাপক ধ্বংসের তুলনায় প্রতিদিন এই যুদ্ধে কতজন ব্রিটিশ বা আমেরিকান বা ইউরোপীয় মানুষ নিহত হচ্ছে? এটা কার যুদ্ধ? এটা কি এখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ নাকি রাশিয়া ও ইউরোপ সহ আমেরিকার যুদ্ধ? কোনো মানুষ বা তাদের অবকাঠামো না হারিয়ে অন্যদের জীবনের খরচে এই যুদ্ধ কি পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্য ও তাদের উপর নির্ভরতা বজায় রাখার জন্যই? যখন দেশগুলি কোভিডের কারণে সৃষ্ট আর্থ-সামাজিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছিল ঠিক তখন এই প্রক্সি যুদ্ধ কিভাবে এশিয়া, আফ্রিকা বা ল্যাটিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশ ও বাংলাদেশে অকথ্য দুর্দশা ও দুর্দশার কারণ হচ্ছে বা হতে পারে তা কি তিনি একবারও ভেবে দেখেছেন বা ভেবেছেন? তাদের আর্থিক সক্ষমতার কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ান গ্যাস ও তেলের ব্যবহার বন্ধ করে এখন মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে তেল কিনতে পারে বা কিনছে। সংঘাতের আগে জার্মানি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলি সস্তা রাশিয়ান তেল ও গ্যাস ব্যবহার করে আরো ধনী এবং শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করে।এখন তারা ধনী এবং তারা যত খুশি টাকা ধার করতে পারে। আরব দেশগুলোর গ্যাস ও জ্বালানি উৎপাদনে সীমাহীন সক্ষমতা নেই, তাই পশ্চিমা দেশগুলোকে গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ করতে আরব দেশগুলো বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে তাদের গ্যাস ও জ্বালানি বিক্রির ইতিমধ্যেই সম্মত চুক্তি বাতিল করছে। স্বভাবতই ধনী দেশগুলো অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যর কষ্টের বোঝা আরও চাপিয়ে দিতে পারে সে ভয়ে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ এবং অনেক দরিদ্র দেশ ছাড়ে রাশিয়ান গ্যাস বা তেল কিনতে পারছে না বা কিনছে না। এই দেশগুলোর, একমাত্র বিকল্প হল যদি তাদের সামর্থ্য থাকে কষ্টার্জিত ডলার ব্যবহার করে অন্য দেশ থেকে খুব বেশী দামে গ্যাস আর তেল কেনা। সর্বোপরি, এই দেশগুলিকে তাদের ভর্তুকি বাড়াতে হচ্ছে যাতে দরিদ্র লোকেরা তাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ে তা পেতে পারে। এই দেশগুলি রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে বেশী দামেও শস্য/খাবার কিনতে পারছে না। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পশ্চিমা দেশ গুলো রাশিয়ার গ্যাস আর জ্বালানি কিনছে। চীন এবং ভারত এমনকি সৌদি আরব (তার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য) ছাড়ে রাশিয়ান গ্যাস এবং তেল কিনছে। পশ্চিমারা তাদের বিরুদ্ধে পেশী বাড়াতে সাহস করছে না। আমি আমাদের ট্যুর গাইডকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি পশ্চিমাদের এই ভণ্ডামি, যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকলে, উননয়নশীল আর দরিদ্র দেশগুলো জীবন আর জীবিকার এখন যা ঘটছে এবং ঘটবে তা কি ভেবেছেন, নাকি তিনি মনে করেন শুধু ইউরোপীয় মানুষ এবং ইউরোপই হল সারা বিশ্ব। আমি তাকে আমার আবেগগত বিস্ফোরণ কিন্তু বাস্তবিক অবস্থার কথা বলার জন্য ক্ষমা করতে বলেছিলাম। তিনি শুনলেন, কিছুক্ষন চিন্তা করলেন এবং শুধুমাত্র বললেন "দুঃখিত এ সম্পর্কে আমি কখনও ভাবিনি।" আমি তখন নিজেকে চুপ করে রেখেছিলাম কারন আমরা ভালো করেই জানি পশ্চিমা দেশগুলোকে তার আধিপত্য এবং বাজার অব্যাহত রাখার জন্য এই যুদ্ধ অচিরে থামতে দেবে না এবং সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে তাদের ভন্ডামী চালিয়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মাথা নিচু করে রাখতে তা উচ্চস্বরে বার বার বলবে। তাদের মতামত ও পথ প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের কেনা আর গৃহপালিত বিশাল মিডিয়া রয়েছে। সমান ভাবে গ্যাস এবং জ্বালানীর পাবার অধিকার, উচ্চ খাদ্য সঙ্কট না থাকা এবং জীবনযাত্রার অস্বচ্ছলতা না হতে দেয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানবাধিকারকে কখনই তারা বিবেচনা করবে না। তারা সর্বদা নিজেদের সম্পর্কে চিন্তা করে এবং তা তারা চালিয়ে যাবে। হয় অস্ত্র, শক্তি বা অর্থের কারনে তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে তারা সমগ্র বিশ্বের চালিকাশক্তি।
এই সংঘাত এখনই বন্ধ করতে হবে। রাশিয়া, ইউক্রেন এবং পশ্চিমকে এক ঘরে, এক টেবিলে বসতে হবে এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করতে হবে। ব্লেম গেম বন্ধ করতে হবে এবং সাধারণ জ্ঞান এবং বোঝাপড়া ফিরিয়ে আনতে হবে। ইউক্রেনের মানুষ এবং তাদের অকথ্য দুর্ভোগের মতো, সমগ্র উন্নয়নশীল জাতি গুলোও ভুগছে। শুধু মাএ ইউক্রেনকে বাঁচাতে এবং এই প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য, দয়া করে কঠোর অনুমোদনের কারণে আরো অনেক দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করবেন না। এমনকি পশ্চিমা জনসংখ্যার দরিদ্র মানুষের অংশগুলিও ভুগছে, তারা জানে না আর কতদিন তারা এই কষ্টে টিকে থাকতে পারবে। তারা শীঘ্রই তাদের আত্মত্যাগের সীমায় পৌঁছে যাবে। ফ্রান্সে সবচেয়ে ডানপন্থী দলগুলো বিপুল সংখ্যক সংসদীয় আসন জিতেছে। স্পেন ও ইতালিতে ডানপন্থী দলগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। নেদারল্যান্ডসও সেই নির্দেশনার চিহ্ন দেখা যাচছে। পশ্চিমকে অবশ্যই সেই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে যা সাধারন মানুষ আর দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করে। অবশ্যই আবার স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে, আগের মতো জীবন বাঁচাতে এবং বজায় রাখতে যা করার তা করতে হবে। সেই ক্ষমতা আর অধিকার ছাড়া গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সভ্যতা টিকবে না। ডানপন্থী, ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতা দখল করবে। কেউ কিন্তু এটা ঘটুক তা দেখতে চায় না। (২য় পর্বে দেশীয় রাজনিতির আরো কিছু কথা)।