ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে ঋণ না দিতে ইউনূসের লবিং?


প্রকাশ: 29/07/2022


Thumbnail

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অন্যদিকে ড. ইউনূসও বসে নেই। তিনি সরকারকে চাপে ফেলার জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন করে লবিং, দেনদরবার এবং তদবির শুরু করেছেন। এবার তার মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচা। উল্লেখ্য যে, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের ঠকানো এবং তাদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এই মামলায় তাকে হাজিরাও দিতে হয়েছিল। কিন্তু মামলা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য অসাধু পন্থা অবলম্বন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের সাথে অনৈতিক লেনদেনে জড়ান এবং তাদেরকে মামলা প্রত্যাহারে প্ররোচিত করেন। একজন আইনজীবির ব্যাংক একাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, আদালতের বাইরে মামলাটি অনৈতিকভাবে ফয়সালার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস এটি করেছিলেন। আর এখন গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির অভিযোগ এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ পরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করলো। এই পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন অন্য পন্থা বেছে নিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কিছুটা অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এই চাপ কাটিয়ে ওঠার জন্য আইএমএফ, জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে। ইতোমধ্যে আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছিল এবং বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার পর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকার জানে না যে এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে কিনা এবং এই ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে কি কি শর্ত থাকে। একাধিক সূত্র বলছে যে, আইএমএফ এর সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে এবং বাংলাদেশ যেন সহজে ঋণ না পায় বা ঋণের শর্তগুলো যেন এমন করা হয় যেন বাংলাদেশ ঋণ গ্রহণ না করে, সে ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টারের যুক্তরাষ্ট্র শাখা কাজ শুরু করেছে। তবে ইউনূস সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের অভিযোগকে ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু আইএমএফ এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউনূস সেন্টেরের ঘনিষ্ট যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান লোকেরা আইএমএফের প্রতিনিধির সাথে বৈঠক করেছেন বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ দিতো কিছু শর্তসাপেক্ষে। এই শর্তগুলো দেখেশুনে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে ঋণ নেবে কিনা। আর এই শর্তগুলো যদি জটিল, কঠিন হয় এবং বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী হয় তাহলে বাংলাদেশ ঋণ গ্রহণ করবে না বলেই বাংলাদেশের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের ঋণ প্রক্রিয়াকে জটিল করার জন্য কাজ করছেন। একইসাথে বাংলাদেশ যেন জাইকার কাছ থেকে ঋণ না পায় সে ব্যাপারেও ড. ইউনূসের লোকজন লবিং করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হোসেন জিল্লুর রহমান, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যরা এখন সরকারের অর্থনৈতিক বিভিন্ন নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। এর পিছনেও ড. মুহাম্মদ ইউনূস রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, হোসেন জিল্লুর রহমানের মতো অর্থনীতিবিদরা যখন বাংলাদেশ সম্বন্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করে তখন আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নিত্য নতুন শর্ত দেওয়ার জন্য উৎসাহিত হয়। পুরো নেটওয়ার্কটি নেপথ্যে থেকে তত্ত্বাবধান করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিজের দুর্নীতি ঢাকতে শেষ পর্যন্ত তিনি আবারও পদ্মা সেতুর মতো বাংলাদেশকেই জিম্মি করতে চাইছেন কিনা এটি এখন কূটনীতিক অঙ্গনে বড় প্রশ্ন। উল্লেখ্য, এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কাছে লবিং করেছিলেন, বাংলাদেশকে যেন সেতু নির্মাণের জন্য ঋণ না দেওয়া হয়। তার লবিং এর কারণে শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি থেকে সরে এসেছিল। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭