চুল পড়া আবার নতুন করে চুল গজানো একটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে অত্যধিক মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস ও দূষণের কারণে চুলের বারোটা বাজে। এসব কারণেই চুল ঝরতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়ার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন। চুল পড়ার লক্ষণ অনেক সময়ই কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তাই চুল পড়ার সমস্যাকে একেবারেই হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়।
জেনে নিন, যেসব রোগের কারণে অত্যধিক হারে চুল পড়তে শুরু করে।
থাইরয়েড
শরীরে থাইরয়েড রোগ বাসা বাঁধলে এমনটা হতে পারে। থাইরয়েড হরমোন, আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ শোষণ করে। এই খনিজগুলো চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম— উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোগীর চুল ঝরতে শুরু করে।
অ্যালোপেসিয়া
যখন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা চুলের ফলিক্লগুলো আক্রমণ করে, তাকে বলা হয় অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা। মাথার তালু এবং মুখেই এই রোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হলে মাথার তালুতে গোল গোল চাকতির মতো টাক হয়ে যায়। এমনকি, ভ্রুর রোমও ঝরতে শুরু করে।
এক্সিমা এবং পোরিওসিস
প্রদাহজনিত এই দুই রোগের কারণে চুলকানি, র্যাশ হতে পারে। লাল ছোপ সারা মুখে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এই দুই রোগের কারণেও চুলের ঘনত্বও কমে যেতে পারে।
পিসিওডি
অনেক নারী পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যায় ভোগেন। হরমোনের সাম্যতা বজায় না থাকার কারণেই মূলত এই সমস্যা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে অত্যধিক চুল পড়া এবং চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়।