ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন স্পিকার ‘পেলোসি’ ও চীনের শঙ্কা


প্রকাশ: 02/08/2022


Thumbnail

এশিয়া সফর শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।  তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, তিনি তাইওয়ান সফরে যাবেন কি না, তা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তাই বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে। পেলোসির সফর নিয়ে খুশি নয় চীন। কূটনৈতিক কারণে হোয়াইট হাউসের মাথাব্যথাও কম নয়। পেলোসি বরাবরই চীনের ঘোর সমালোচক। সেই ১৯৮৯ সাল থেকেই পেলোসির চোখের বালি বেইজিং।

ন্যান্সি পেলোসি যদি তাইওয়ান যান তবে নিউট গিংরিচের পর তিনিই সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ হিসেবে তাইওয়ান সফরে নাম লেখাবেন। ১৯৯৭ সালে নিউট দেশটি সফর করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের পর ন্যান্সি পেলোসির নামই বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। পেলোসি গত রোববার সিঙ্গাপুরে গেছেন। এরপর পেলোসির ইন্দোনেশিয়া ও জাপান সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। পেলোসি এর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি তাইওয়ানেও যাবেন। তবে তাঁর এ সফরের পেছনে কী উদ্দেশ্য, তা জানা যায়নি।

তবে উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করায় হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারাও পেলোসিকে তাইওয়ান সফর থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। 

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বাহিনীর দ্বারা বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমনের দুই বছর পর ১৯৯১ সালে তৎকালীন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রতিনিধিদল বেইজিং সফর করে। সফরসঙ্গী দুই কংগ্রেস সদস্যসহ কাউকে কিছু না জানিয়ে পেলোসি তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চলে যান। সেখানে যেতে চীনের কর্তৃপক্ষের যে অনুমতি নিতে হয়, সেটাও তিনি নেননি।

পরে পেলোসির দুই সফরসঙ্গীও তিয়েনআনমেন স্কয়ারে হাজির হন। তাঁরা সেখানে ছোট কালো রঙের ব্যানার প্রদর্শন করেন। সেখানে লেখা ছিল ‘যাঁরা চীনের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছেন’। পরে অবশ্য চীনের পুলিশ দ্রুত তাঁদের কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়।

পেলোসি ১৯৮৯ সালে বিক্ষোভকারীদের দমনে চীনা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে দেওয়া প্রস্তাবের বিষয়েও সহায়তা করেন। নব্বইয়ের পরও কয়েক বছর ধরে পেলোসি বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। চলতি বছরও তিনি তিয়েনআনমেন স্কয়ারের ঘটনার ৩৩তম বার্ষিকীতে একটি বিবৃতি দেন। সেখানে এ ধরনের বিক্ষোভকে রাজনৈতিকভাবে অন্যতম সাহসী কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি। কমিউনিস্ট দলের শাসনকে অত্যাচারী বলে অভিহিত করে নিন্দা জানান।

এ ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত অলিম্পিক গেমসের আয়োজন থেকে চীনকে বিরত রাখতে চেয়েছিলেন পেলোসি।

বছরের পর বছর ধরে পেলোসি চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক অবস্থাকে মেলাতে চেয়েছেন। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ ও বিল ক্লিনটন পেলোসির উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

বিবিসির বিশ্লেষণ


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭