নিজের নির্বাচনী এলাকার (কুমিল্লা-৭) কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি কুমিল্লার চান্দিনা থেকে ৪ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। দুই দুইবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার এই নির্বাচনী এলাকায় আমি ৩টি কলেজ, ৫টি হাইস্কুল, ২টি গালর্স হাইস্কুল বহু মসজিদ মাদ্রাসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেছি। আজ সেই চান্দিনায় কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে আমাকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন কি সেখানে আমাকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের সুখে-দুঃখে সারাজীবন যেখানে তাদের পাশে ছিলাম আজ সেখানে সেই আপনজনদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও বাধার সৃষ্টি করছে। আশ্চর্য বিষয় এই যে, আমার সমর্থক মৃত ব্যক্তিদের কুলখানিতেও আমাকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলকাবাসীকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে’।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘এই চান্দিনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নিজ এলাকায় কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে, হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। চান্দিনার মানুষের সেবা করা আমার ধ্যান-জ্ঞান। অথচ সেই চান্দিনা থেকে আমাকে বিতাড়িত করতে স্থানীয় এমপি তার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। তার দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে আছে। এলাকায় বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে তার দায় এলডিপির নেতাকর্মীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। কারও কোনো নিমন্ত্রণ বা দাওয়াতে আমি যদি অংশগ্রহণ করি তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে’। সম্প্রতি তাকে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ।
রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘দেশে চলছে গুম-খুন-অপহরণ। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখতে গিয়ে বর্তমান সরকার বিরোধী দল ও মতের শত শত মানুষকে গুম-খুন অপহরণ করেছেন। একটি মাফিয়া চক্র গত একযুগ ধরে দেশে একটি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীনরা আজ জনসমর্থন হারিয়েছে। অথচ গোষ্ঠীগত লুটপাটের স্বার্থে এবং কৃত অপরাধের বিচার থেকে রেহাই পেতে তারা জবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। গুম, খুন, জেল, জুলুমের সন্ত্রাসী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশে এখন ভয় ও লোভের রাজত্ব চলছে’।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার একটা সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী সরকার। গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করেছে’।