ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের পরিণতি নিতে যাচ্ছে তাইওয়ান?


প্রকাশ: 03/08/2022


Thumbnail

"চীন থেকে তাইওয়ান, ইউক্রেন থেকে রাশিয়া- 

বিশ্বজুড়ে শান্তির পারদ নামায় ওঠায় আমেরিকা।" 

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমনের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমেরিকার সেকথা কারোই অজানা না। রাশিয়া –ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গত ছয়মাসে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানী সংকটের জন্য পশ্চিমারা এককভাবে রাশিয়াকে দায়ী করলেও, যুদ্ধের প্রভাবক হিসাবে এই সেই দায় আমেরিকা কোনভাবেই এড়াতে পারে না। ঠিক তেমনি বর্তমান বিশ্বের আরেক সংকট চীন তাইওয়ান ইস্যুতেও আমেরিকার সমান ভূমিকা। সুতরাং, যদি চীন নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য তাইওয়ান আক্রমণ করে সেখানে অবাক হবার কিছু থাকবে না। 

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে বিশ্ব পূর্ব-পশ্চিম দুইভাগে ভাগ হয়ে গেলে রাশিয়া, চীন, ইরান একপক্ষ এবং অপরপক্ষ আমেরিকা, বন্ধু ইউরোপীয়ান দেশগুলো এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। গত দুইমাসে দুইবার এশিয়া সফর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রথমবার জাপান সফর করে চীনের বিরুদ্ধে কোয়াড গঠন করেছেন, এবং দ্বিতীয়বার, মধ্যপ্রাচ্য সফর করে ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোট করেছেন। 

সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে টেলিফোনে বাইডেন জানিয়েছেন, মার্কিন স্পিকার পেলোসির নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে স্বাধীন, তার তাইওয়ান সফরের সিদ্ধান্তও নিজে নিয়েছেন, যেখানে বাইডেনের কোন ভূমিকা নেই। আসলেই কি তাই? যে ব্যক্তি রাজনীতি নিয়ে বিশেষ জ্ঞান রাখেন না তিনিও তো এই কথা বিশ্বাস করবেন না। পেলোসির তাইওয়ান সফরের ভিত যে বাইডেন নিজ হাতে গড়ে দিয়েছেন গত জাপান সফরে এবং চীনকে যুদ্ধ করতে উস্কানি দেয়ার জন্য যে পেলোসিকে তাইওয়ান পাঠিয়েছেন তা খুব সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট কড়া ভাষায় বাইডেনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন "আগুন নিয়ে না খেলতে।" 

অবশেষে, চীনের তীব্র আপত্তি ও হুঁশিয়ারির মুখে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইতে পৌঁছেছেন ন্যান্সি পেলোসি। এর আগে থেকেই তাইওয়ান ও চীনের  সীমান্তে যুদ্ধবিমান এবং রণতরী মোতায়েন করে চীন। পেলোসি পৌঁছানোর পরে নতুন করে আরও ২১ টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমার আশেপাশে মহড়া দিচ্ছে। পাল্টা জবাবে জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে তাইওয়ানে উড়ে আসে মার্কিন বিমানবাহিনীর ১৩টি ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিএনএন। 

চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর শিয়ামেনের বাসিন্দারা সাঁজোয়া যান চলাচল করতে দেখেছেন। গত সপ্তাহ থেকে চীনের সেনাবাহিনী দক্ষিণ চীন সাগর, পীতসাগর ও বোহান সিতে একাধিক সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এদিকে মার্কিন রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান বর্তমানে ফিলিপাইন সাগরে অবস্থান করছে। মার্কিন নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যেকোনো উসকানিতে তাঁরা জবাব দিতে সক্ষম। চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে এবং দ্বীপটিকে চীনা শাসন মেনে নিতে বাধ্য করার জন্য সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে।

ফলশ্রুতিতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত চীন-তাইওয়ান যুদ্ধের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যা দূর দিগন্ত থেকে ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭