নতুন সংকটে বাংলাদেশ ফুটবল

বাংলাদেশের ফুটবলে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা। এরই মধ্যে নতুন এক সংকট মুখোমুখি হচ্ছে দেশ। ঘরোয়া ফুটবল থেকে নিজেদের একেবারে সরিয়ে নিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

প্রতি বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলে এই ক্লাবের ৫-৬ জন করে ফুটবলার থাকেন গত কয়েক বছর ধরে। রিয়াদুল হাসান রাফি, ইয়াসিন আরাফাত, মেরাজ হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম সহ বেশ কয়েক জন ফুটবলার গত কয়েক বছরে গড়ে তুলেছিল ক্লাবটি। 

এমন একটি প্রতিষ্ঠিত ক্লাব সরে যাওয়ায় দেশের ফুটবলের জন্য বড় ধরণের ক্ষতি বলে মনে করেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি হাসানুজ্জামান খান বাবলু। সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি বলেন ‘এটি ঘরোয়া ফুটবলের জন্য অনেক বড় দুঃসংবাদ। এই ক্লাবটি অল্প কয়েক বছরে দেশের ফুটবলে বেশ ভূমিকা রেখেছিল। তারা ফুটবল থেকে সরে গেলে অনেক ফুটবলার তৈরি হবে না এবং প্রতিষ্ঠিত ফুটবলাররাও একটি অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।’ 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে প্রতি মৌসুমে দু’টি দল অবনমিত হয়। পয়েন্ট টেবিলের হিসেবে স্বাধীনতা ও উত্তর বারিধারা অবনমিত হয়েছে সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে। সাইফ যদি আগামী লিগে অংশ না নেয়, তাহলে অবনমিত দলের সংখ্যা দু’টি থাকবে না একটি করা হবে, নাকি দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে দু’টির পরিবর্তে তিনটি দল উঠবে প্রিমিয়ারে, না একটি দল কম নিয়েই চলবে আগামী প্রিমিয়ার লিগ, এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ইতোমধ্যে তাদের সিদ্ধান্তের কথা বাফুফেকে জানিয়েছে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, ‘সাইফ স্পোর্টিংয়ের পক্ষ থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি এবং সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে তাদের পক্ষে দল পরিচালনা অসম্ভব বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তারা।’ 

সাইফ স্পোর্টিং বর্তমান লিগে তৃতীয় হয়েছে। তারা আগামী লিগে অংশগ্রহণ না করলে সাইফের শূন্যতা কিভাবে পূরণ হবে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়গুলো সামনে সভায় আমরা আলোচনা করব।’