ইনসাইড থট

লোডশেডিং এর ক্ষেত্রে ওয়াদার বরখেলাপ কাম্য নয়


প্রকাশ: 04/08/2022


Thumbnail

গত সপ্তাহে ঢাকায় ছিলাম চারদিন। বিদ্যুৎ যেতে দেখিনি। বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে শুনেছি, অফিস সময়ে বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে একবার। তাও ঘণ্টা খানেকের বেশি না। পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ীই বিদ্যুৎ থাকে না। অফিস সময়ে বাইরের কাজে ছিলাম বলে হয়ত বাড়িতে বিদ্যুৎ যেতে দেখিনি।

গ্রামে আছি সপ্তাহখানেক হল। অবস্থা শোচনীয়। কথা কাজে ঠিক নেই। শুধুই ওয়াদার বরখেলাপ। পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইট এ দেখাচ্ছে বিদ্যুৎ থাকবে না- এক ঘণ্টা করে। তাও দিনে একবার । কার্যত বিদ্যুৎ থাকছে না দৈনিক চার থেকে পাঁচবার। ঘোষিত সময়ে থাকে না ঘন্টাখানেক। অঘোষিত সময়ে থাকে না ত্রিশ চল্লিশ মিনিট করে। পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক প্রধানরা বলছেন, যা পাবার তা পাচ্ছি না। যদি পাওয়ার কথা থাকে ছয় মেগাওয়াট, পাচ্ছি চার মেগাওয়াট। তাই কথা রাখতে পারছি না।

বিদ্যুৎ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্তাদের আর কিইবা করার আছে। যা পাচ্ছে তাই ভাগ যোগ করে দিচ্ছে সবাইকে। সুষম বণ্টন করছে। বড় কর্তারাই বা কি করবেন? উনারা ওয়েবসাইটে একটি করে পিডিএফ ফাইল আপলোড করছেন। এলাকার নামের পাশে চব্বিশ ঘণ্টার জন্য চব্বিশটা চারকোনা ঘর আঁকছেন। তার একটিতে লাল রং দিয়ে ব্লক করে দেখাচ্ছেন- ঐ সময়ে বিদ্যুৎ থাকবে না। লোডশেডিং ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুব সুন্দর একটি সমাধান! ব্যাস, দায়িত্ব শেষ। উপর মহলকে দেখাচ্ছেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী লোডশেডিং হচ্ছে। বিলকুল ঠিক হায়। বাস্তবে যে কথা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না, ওয়াদার বরখেলাপ হচ্ছে তা হয়ত ওপর মহল জানেনই না।

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কথা এতদিনে দেশবাসী জেনে গেছে। জ্বালানি সাশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা দেশবাসী বুঝে গেছে। তাই বলে জনগণের সাথে তামাশা করবেন না। দৈনিক এক ঘণ্টা নয়। প্রয়োজনে লোডশেডিং দু ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা বা চার ঘণ্টা করুন। কিন্তু ওয়েবসাইটে যেটি ঘোষণা দিবেন, সেই সময়ের ভেতর থাকুন। ওয়াদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। বিদ্যুৎ বিহীন সময়ের কথা মানুষের জানা থাকলে, তাঁরা সে অনুযায়ী তাদের পরিকল্পনা সাজাতে পারে। বৈশ্বিক এ দুর্যোগে মানুষের চাহিদা কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নয়। তাঁদের দাবি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী লোডশেডিং। তা সেটা যে কোন সময়কালের জন্য। এ মুহূর্তে  কথা অনুযায়ী কাজ করে, ওয়াদার বরখেলাপ না করে, লোডশেডিং দিয়েও জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু যদি ওয়েবসাইটের ঘোষণা চলে ওয়েবসাইট অনুযায়ী আর বাস্তব চলে ভিন্ন নিয়মে, তাতে  জনগণ যে কোন সময়ে ফুঁসে উঠতে পারে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭