ইনসাইড হেলথ

মাঙ্কিপক্সে ভয় নয়, মেনে চলুন সতর্কতা


প্রকাশ: 08/08/2022


Thumbnail

সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস মাঙ্কিপক্স। খুব দ্রুত সংক্রমিত হওয়া এই ভাইরাসে প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মাঙ্কিপক্স আসলে নতুন রোগ নয়, ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কে কোপেইনহেগেনের এক ল্যাবরেটরিতে প্রথম বানরকে দিয়ে রিসার্চ করতে গিয়ে বানরের মধ্যে ধরা পড়ে। সেই থেকেই এই রোগের নাম হয় মাঙ্কিপক্স।

মাঙ্কিপক্স আমাদের দেশের জন্য কতটা ঝুকিপূর্ণ এ বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর সাথে। তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রায় ৭৮ টা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

এই রোগটি প্রথম ছড়ায় মধ্য আফ্রিকা ও পশ্চিম আফ্রিকতে। তবে চলতি বছরের গত ২-৩ মাসে শুধু আফ্রিকা নয়, বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এমনকি আমেরিকার মত দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাই দেশটি জরুরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির সরকার। 

আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছ। দেশটিতে আক্রান্তের পাশাপাশি মিলেছে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও। যেহেতু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে তাই আমাদের ঝুঁকি তো একটা রয়েছেই। 

আমাদের ভয় হলো যেহেতু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে তাই ঝুঁকি তো একটা আছেই। একটাই ঝুঁকি রয়েছে আর সেটা হলো আক্রান্ত দেশ থেকে যদি কেউ এই ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসে তার মাধ্যমে ছড়ানোর ঝুঁকিটা রয়েছে। যদিও খুব বেশি ঝুঁকি মনে হয় না তারপরেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে যারাই দেশের বাইরে থেকে বর্ডার ক্রস করে জল পথ থেকে স্থল পথে আসবে  সেখানে একটা স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। কারণ এই রোগের লক্ষণ সাধারণত শরীর ব্যথা, নাকে পানি, হাচি, কাশি এইগুলাই। এছাড়াও শরীরে দেখা দিতে পারে পানি বসন্ত বা জল বসন্তের মত র‍্যাশ। যা খুব বেশি চুলকায়। তারপর আস্তে আস্তে প্রায় ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে রোগী ভালো হয়ে যায়। তাই আমাদের সব থেকে বেশি জরুরি সতর্ক থাকা, সচেতন থাকা, বর্ডার এলাকায় স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা। 

যদি কারো শরীরে এই রোগের লক্ষণ পাওয়া যায় তাহলে সরকারকে সতর্কতা জারি করে দেওয়া দরকার এবং আক্রান্ত রোগীকে সংক্রামক ব্যধি হাসপাতালে ভর্তি করা। আইসোলেশনে রাখা উচিত৷ প্রায় ২১ দিনের মত আলাদা করে রাখলে আস্তে আস্তে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরেকটি কথা হলো এটা কোনো স্পেসিফিক চিকিৎসা নয়, এটি একটি সিমটোমেটিক সাপোর্টিভ। যেমন জ্বর হলে আমরা প্রাথমিকভাবে নাপা, প্যারাসিটামল ইদ্যাদি খাই। 

যদিও এই টিকার কোনো মেডিসিন নেই। তবে ছোট বেলা যারা পক্স বা স্মল পক্সের টিকা দিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫ ভাগ প্রোটেকশন দেয়।  তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আমাদের সকলকেই এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্কতা জরুরি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭