ইনসাইড টক

'বিদ্যমান আইনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে আমাদের কিছু করার নেই'


প্রকাশ: 08/08/2022


Thumbnail

এখন দেশে অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলা হচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন যে, টাকা পাচার বন্ধ, ব্যাংকিং খাতে লুটপাট বন্ধ এবং সার্বিকভাবে দুর্নীতি যদি কমানো যেতো তাহলে সরকারকে আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণও নিতে হতো না এবং সরকারকে এই সংকটে পড়তে হতো না। এই প্রেক্ষাপটে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে কথা বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।

বাংলা ইনসাইডার: দুর্নীতি বন্ধের জন্য দুদক কি করছে, কতটুকু সক্রিয় আপনারা?

মো. মাহবুব হোসেন: আমাদের তফসিলে যে বিষয়গুলো বলা আছে, সেই তফসিলের ক্ষমতাবলে বা তফসিলের আওতায় যে সমস্যা বা অভিযোগগুলো, সেগুলোর বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। দুদক সেইসব অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধান করার করার পর যদি কোনো তথ্য থাকে তখন মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়ের হলে কোর্টে যাই। কাজ চলমান আছে।

বাংলা ইনসাইডার: বিদেশে টাকা পাচার, যেমন পিকে হালদারের বিষয় কি বলবেন?

মো. মাহবুব হোসেন: টাকা পাচারের ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। এক্ষেত্রে দুদকের ক্ষমতা সীমিত। কারণ মানিলন্ডারিং আইনে দুদককে শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারী যদি মানিলন্ডারিং করে দুর্নীতির মাধ্যমে, সেইটা দুদক দেখভাল করতে পারবে বা মামলা নিতে পারবে বা তদন্ত করতে পারবে। তাছাড়া অন্য কোনো পাবলিক বা শিল্প প্রতিষ্ঠান নিজে যদি না করে সেখানে দুদকের যাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। আইনগতভাবে আমরা পারি না।

বাংলা ইনসাইডার: আপনারা কি মনে করেন না যে, এই আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন?

মো. মাহবুব হোসেন: আইন সংশোধন করা লাগবে। মহামান্য হাইকোর্টও বলেছে আইন সংশোধন করতে। আইন সংশোধনের জন্য আমরা কেবিনেটে চিঠিও দিয়েছি। কেবিনেট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দিয়েছে। ওইটার অগ্রগতি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। সংশোধন বলতে ওই তফসিলে আমাদের দুদককেও ক্ষমতাটা দিয়ে দিতে হবে। তাহলে আমরা ওইগুলো করতে পারবো। কিন্তু ওই সংশোধনীর অগ্রগতি আমরা এখনো পর্যন্ত জানি না।

বাংলা ইনসাইডার: ব্যাংকিং খাতে যেমন বিসমিল্লাহ গ্রুপ, হলমার্ক নিয়ে দুদক অনেক সক্রিয় ছিল, কিন্তু কোনো রেজাল্ট তো সাধারণ নাগরিকরা পেলো না। এটাতে এতো দীর্ঘদিন সময় কেন লাগছে? 

মো. মাহবুব হোসেন: আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যেগুলোর অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে, সেগুলোর তথ্য-উপাত্ত আমাদের নিতে হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে নিতে হয়। সেটার জন্য সময় লাগে। চাওয়ার সাথে সাথে কেউ সহজে দেয় না। বারবার চাইতে হয়। এটা একটা কারণ। 

বাংলা ইনসাইডার: বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারি, এটার বিষয়ে আপনারা তো এখনো কিছু করতে পারলেন না?

মো. মাহবুব হোসেন: এগুলো আমাদের এইখানে এখনো অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে। তথ্য-উপাত্ত সব পাওয়া গেলে তারপরে তারা দিবে। এখনও পাওয়া যায়নি। এ কারণে এখনো রেডি হয়নি। আমার ৭ মাসের অভিজ্ঞতায় আমার মন্তব্য এইরকম। আর সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে, এই বিষয়ে আমার এখতিয়ার নেই। অনুসন্ধান, তদন্ত, মামলা এগুলো আলাদা বিষয়। 

বাংলা ইনসাইডার: দুদকের সচিব হিসেবে আপনি কি মনে করেন যে, দুদক যদি আরও সক্রিয় হতো তাহলে দুর্নীতিটা আরও কমে যেতো?

মো. মাহবুব হোসেন: দুদক তো সক্রিয় আছে। সচিব হিসেবে আমার বক্তব্য হলো, দুদক তৎপর আছে। আপনারা অগ্রগতি সহসাই দেখতে পাবেন। 

বাংলা ইনসাইডার: কি করলে দুদক আরও মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে?

মো. মাহবুব হোসেন: আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পেতে সময় লাগে। এটাই সমস্যা। 

বাংলা ইনসাইডার: আপনাদের জনবল নিয়ে কি কোনো সমস্যা আছে?

মো. মাহবুব হোসেন: জনবল নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। জনবল যা আছে সেটা যথেষ্ট।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭