লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের মজিবুর রহমান রাজুর ছেলে রায়হান (৭) বন্ধুদের সাথে বাড়ীর পাশে খেলতে গিয়ে পায়ে লাঠি ভেঙ্গে ডুকে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনরা নিয়ে যান শহরের মিলেনিয়াম হসপিটালএ। এ সময় অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. মুহাম্মদ সাঈদ আল-মাহফুজ ওই শিশুর পা এক্সরে করেন এবং পায়ের মাঝে আর কিছু নেই উল্লেখ করে শিশুটির পুরো পা ব্যান্ডেজ করে দেন।
এদিকে, শিশুটির পায়ের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সপ্তাহখানেক পর নোয়াখালীতে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই ব্যান্ডেজ খুললে রায়হানের পায়ে লাঠি দেখতে পান তার স্বজনরা। এজন্য চিকিৎসকের গাফিলতিকে দুষলেন স্বজনরা। তবে এর সাথে মিলেনিয়াম হসপিটালের কোন দায়বদ্ধতা নেই বলে দাবি করেন হাসপাতালটির স্বত্বাধিকারী ইব্রাহিম।
ভুক্তভোগীর বাবা রাজু বলেন, খেলতে গিয়ে শিশুটির পায়ে লাঠি ভেঙ্গে ঢুকেছে বললেও ডাক্তার বিষয়টিকে কোনো গুরুত্ব দেননি। একাধিকবার এক্সরে করিয়ে তাঁর ছেলের পা পুরোটা ব্যান্ডেজ করেন ওই চিকিৎসক। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলেও ডাক্তার তাঁকে ভয় না পাওয়ার জন্য ধমক দেন। পরে রায়হানের ব্যথা বাড়লে ওই চিকিৎসক তাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন। পায়ের ব্যথায় রায়হানের চিৎকারে তার পরিবার বাধ্য হয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরে সপ্তাহখানেক পর নোয়াখালীতে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে অন্য একজন চিকিৎসককে দেখালে তিনি শিশুটির ব্যান্ডেজ খুলে সেখান থেকে প্রায় তিন ইঞ্চি লম্বা একটি লাঠি বের করে আনেন। এতে তিনি আর্থিক ও তাঁর সন্তানের শারীরিক ক্ষতি হওয়ায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।
এদিকে অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. মুহাম্মদ সাঈদ আল-মাহফুজ বলেন, এক্সরেতে অনেক সময় লাঠি আছে কিনা তা বুঝা যায় না। এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে স্বীকার করেন এই চিকিৎসক।
মিলেনিয়াম হসপিটাল (প্রা:) লিমিটেড এর স্বত্বাধিকারী মোঃ ইব্রাহিম জানান, এটা ভুল হতে পারে। তবে এটি নিছক চিকিৎসকের ভুল হবে।