জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে গণপরিবহনের ভাড়া। বিভিন্ন রুটের গণপরিবহনের ভাড়াও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু নির্ধারক ভাড়াকে তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে পরিবহন মালিকগণ। সড়কে গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে অনিয়মের যেন শেষ নেই। সাধারণ যাত্রীরা এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের শিকার হতে হয় হেনস্তার।
তবে এবার গণপরিবহনে এই অনিয়মের শিকার হয়েছেন খোদ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। তাকে দিতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। এরই মধ্যে বিষয়টি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে জানিয়েছেন তিনি। সড়কের এই নৈরাজ্য নিয়ে দলীয় অফিসেও আলোচনা করেছেন।
কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, দেখলাম যাত্রীদের যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য মন্ত্রীকে জানিয়েছি।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের ওই নেতা জানান, মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) তিনি মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে বাসে উঠেন। আর নামেন বনানীর কাকলী মোড়ে। এ জন্য তাকে দিতে হয়েছে ৩০ টাকা ভাড়া। এতে তিনি ঠকেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূরবী থেকে কাকলী মোড়- এই পথের দূরত্ব ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার। আর সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি আড়াই টাকা। সে হিসাবে ভাড়া হয় ১৭ টাকা। আওয়ামী লীগ নেতা দিয়েছেন ৪ টাকা ১১ পয়সা হারে ৩০ টাকা। অবশ্য এর আগে থেকে আদায় করা হতো ২০ টাকা।
এর আগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শনিবার (৬ আগস্ট) বাসভাড়া বাড়ায় বিআরটিএ।
এতে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাসের ভাড়া আগে ছিল প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা, যা বাড়িয়ে এখন করা হলো ২ টাকা ২০ পয়সা।
এছাড়া মহানগর পর্যায়ে আগে প্রতি কিলোমিটারে বড় বাসের ভাড়া ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা, এখন তা ২ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। মিনি বাসের আগে ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা।
এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া বাসে ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা হয়েছে।