ইনসাইড বাংলাদেশ

সার্বিক পরিস্থিতির ওপর প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক নজরদারি


প্রকাশ: 10/08/2022


Thumbnail

বাংলাদেশের যেকোনো সংকটের ত্রাণকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যেকোনো সঙ্কট সমাধানে সাহসী হোন, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সংকট উত্তরণের ক্ষেত্রে পথ দেখান। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে, সেই সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন এবং সংকট সমাধানের জন্য তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে কথা বলছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, যেকোন সংকটে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত একাকার করে দিয়ে পরিশ্রম করেন, কাজ করেন এবং সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন। এ প্রসঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন যে, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ যতগুলো সংকটে পড়েছে, সবগুলো সংকট শেখ হাসিনা তার একক যোগ্যতা এবং বিচক্ষণতায় উতরে গেছেন। যেমন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এই বিদ্রোহের ঘটনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যে সাহস এবং বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন তা তুলনাহীন এবং তার একক উদ্যোগের কারণেই এই সংকট থেকে জাতি মুক্তি পায়।

২০১৩ সালের নির্বাচনকে নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছিল এবং সেই সংকটেও প্রধানমন্ত্রী একাই বিচক্ষণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং বিরোধী দলের নেতাকে তিনি চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সেই চায়ের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করার পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন জনগণের কাছে এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা পায় এবং ওই নির্বাচনের পর সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারে। হলি আর্টিসানের ঘটনার সময়ও দেশ সংকটে পড়েছিল এবং সেই সংকট থেকেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উত্তরণ ঘটায়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী সারারাত বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ, সমন্বয় সাধন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কাজ করেছিলেন। যার কারণে হলি আর্টিসানের মতো ঘটনার পর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেনি এবং এই ধরনের সন্ত্রাসবাদি তৎপরতার পুনরাবৃত্তি আর ঘটেনি। 

২০২০ সালে করোনা শুরু হওয়ার পরও একই সংকটে পড়েছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা, দুর্নীতি ইত্যাদি পেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর লাগাতার মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি দফায় দফায় সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতিকে সুরক্ষা করেন। এরকম অনেক উদাহরন দেওয়া যায়। আর এরকম প্রেক্ষাপটেই সাধারণ মানুষ এখনও আশাবাদী যে, তেলের মূল্যবৃদ্ধি বা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে অর্থনীতিতে যে দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করবেন, কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী পুরো বিষয়ের উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। 

অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় কথা বলছেন। বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সরকারি সূত্রগুলো বলছে যে, সরকারের সামনে এখন পাঁচটি বিবেচনার বিষয় রয়েছে। প্রথমত, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিকে সহনীয় মাত্রায় রাখা। দ্বিতীয়ত, রিজার্ভ যেনো উদ্বেগজনকভাবে কমে না যায় সেটা ঠিক রাখা। তৃতীয়ত, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করা। চতুর্থত, ডলারের বাজারকে স্থিতিশীল করা এবং পঞ্চমত, দুর্নীতি, অপচয় বন্ধ করে অর্থনৈতিক কৃচ্ছ্রতাকে প্রতিপালন করা। এই বিষয়গুলো যেন যথাযথভাবে হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী বিষয়গুলোকে মনিটরিং করছেন। আর এ কারণেই অনেকে মনে করছেন যে, পরিস্থিতি যতই জটিল হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় হয়তো পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হবে। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭