একের পর এক সংকটের কারণে সরকার কোণঠাসা অবস্থানে থাকলেও বিএনপি এখন অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির নেতারা বলছেন যে, এতদিন ধরে বিএনপি দেশের যেসমস্ত সমস্যাগুলোর কথা বলে আসছিল তা সবই এখন দৃশ্যমান হয়েছে। সরকারের দুর্নীতির চিত্রগুলো ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করেছে। দেশের বিদ্যুৎ সংকট, অস্থিতিশীল অর্থনীতি ব্যবস্থা, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, সরকারের দুর্নীতি এসমস্ত কিছু নিয়ে বিএনপি অনেক দিন ধরেই কথা বলে আসছে। সরকার সব সময় তা অস্বীকার করলেও এখন অনেক কিছু স্বীকার করছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টা বলেন, দেশের চলমান সংকটগুলোর শুরুর অবস্থা থেকে আমরা বলে আসছি যে, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক হয়ে আসছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতির অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। আমাদের সেই আশঙ্কা এখন অনেকটা দৃশ্যমান বলে দাবি করেন তিনি। দলটির নেতারা বলছেন, সরকারের বিরুদ্ধে এতদিন যা বিএনপির অভিযোগ ছিল এখন সেগুলো গণমানুষের অভিযোগে পরিণত হয়েছে। এগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনা হচ্ছে এবং মানুষ ধীরে ধীরে সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন যে, এখন সময় এসেছেন সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর। আর বিএনপি সেটা অচিরেই করবে বলে জানা গেছে। কবে নাগাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে এ ব্যাপারে দলীয় সূত্রে জানা গেছে যে, দলের শীর্ষ নেতারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। মাঠে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার মতো আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি হলেও বিএনপি সময়ের অপেক্ষা করছেন বলে জানা যায়। সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার কি ধরনের পদক্ষেপ নেয় সেটা বিএনপি পর্যবেক্ষণ করছে। বিএনপি মনে করছে যে, সবে মাত্র সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। এর প্রভাব ধীরে ধীরে প্রতিটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়বে। তখন খুব ভয়ানক একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। জনগণ নিজেরাই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তা নামবে। আর তখন বিএনপি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবে।