জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, বাসভাড়া বৃদ্ধিসহ কয়েকটি ইস্যুতে গতকাল সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। সেই সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সামনেই সমাবেশে অংশ নেওয়াদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। বিশৃঙ্খলা দেখে বিএনপির নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী মারামারি থামাতে গেলে তার ওপরও চড়াও হন নেতাকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকালের সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে মূলত বিরিয়ানির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে। সমাবেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরিয়ানি বিতরণের সময় ভাগে কম পাওয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতা নয়নের অনুসারীরা কেরানীগঞ্জ থেকে আসা বিএনপির এক কর্মীর মোবাইল ভেঙে ফেলে। এ নিয়ে প্রথমে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তা মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
বিএনপি'র সমাবেশে যোগ দেওয়া অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদেরকে দুপুরের বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সমাবেশে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু সমাবেশে যোগ দিলেও তাদের খাওয়ার দেওয়া হয়নি। বরং সেই খাবার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জনগণের সঙ্গে বিএনপি'র এখন আর সম্পর্ক নেই। ফলে এখন জনগণের অংশগ্রহণমূলক কোনো কিছু করতে গেলেও তাদের লোক ভাড়া করতে হয়। এখন তারা বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে মানুষকে সমাবেশে আনার চেষ্টা করছে এবং দেখানো চেষ্টা করছে যে, তাদের জনসমর্থন অনেক। কিন্তু আসলে এটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এভাবে দিনের পর দিন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বিএনপি। গতকালের বিরিয়ানির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি তারই প্রমাণ।