ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার তাইওয়ান সফরে মার্কিন আইনপ্রণেতারা


প্রকাশ: 15/08/2022


Thumbnail

কিছুদিন আগেই তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। চীনের সামরিক হুমকি উপেক্ষা করেই তিনি তাইওয়ান সফর করেন। আর এরপরই ভূখণ্ডটি নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব রূপ নেয় নতুন মাত্রায়।

পেলোসির সেই সফরের পর দুই সপ্তাহ পার না হতেই এবার তাইওয়ান সফরে গেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। রোববার (১৪ আগস্ট) দুই দিনের সফরে ভূখণ্ডটিতে পৌঁছান তারা। সোমবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দল দু’দিনের সফরে রোববার তাইওয়ানে পৌঁছেছেন। সেখানে তারা স্ব-শাসিত এই দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েনের সাথে দেখা করবেন।

অবশ্য গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে থাকে বেইজিং। চলতি আগস্ট মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর দ্বীপের চারপাশে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালিয়েছে দেশটি।

তাইপেইতে ডি ফ্যাক্টো মার্কিন দূতাবাস বলেছে, মার্কিন এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনেটর এড মার্কি। তার সাথে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাউসের আরও চার আইনপ্রণেতা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আরও বৃহত্তর সফরের অংশ হিসাবেই এই আইনপ্রণেতারা ভূখণ্ডটিতে সফরে এসেছেন।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টর কার্যালয় জানিয়েছে, সোমবার সকালে প্রতিনিধি দলটি প্রেসিডেন্ট সাইয়ের সঙ্গে দেখা করবে। এক বিবৃতিতে কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘তাইওয়ান প্রণালী এবং এই অঞ্চলে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে চীন যখন উত্তেজনা বাড়াচ্ছে তখন সিনেটর এড মার্কির নেতৃত্বে এই প্রতিনিধিদলের সফর তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের দৃঢ় সমর্থন প্রদর্শন করছে।’

রয়টার্স বলছে, এড মার্কি মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা উপকমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মার্কির একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ান সফরে তার সঙ্গে থাকা অন্য নেতারা হলেন কংগ্রেসনাল পারমাণবিক অস্ত্র ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধি জন গারামেন্ডি এবং প্রতিনিধি ডন বেয়ার।

ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস রোববার বলেছে, ‘মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের মার্কিন সরকারের এক-চীন নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা উচিত’। আরও বলা হয়েছে, কংগ্রেসের সদস্যদের সাম্প্রতিক সফর ‘আবারও প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে স্থিতিশীলতা দেখতে চায় না এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়ানো ও চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য কোনো প্রচেষ্টাই ছাড়েনি।’

অন্যদিকে হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র বলেছেন, কংগ্রেসের সদস্যরা কয়েক দশক ধরে তাইওয়ানে সফরে গেছেন এবং ভবিষ্যতেও তা চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের সফরগুলো যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিন ধরে মেনে চলা এক-চীন নীতি অনুসারেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭