ইনসাইড টক

‘মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফর ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে’


প্রকাশ: 16/08/2022


Thumbnail

সামাজিক আন্দোলন কর্মী, নারীবাদী এবং মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেছেন, মানবাধিকার হলো অলঙ্ঘনীয় অধিকার। যা মানুষ তার জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্যভাবেই পায়। বিশেষ করে যারা পিছিয়ে পড়ে আছেন, যারা সুবিধা বঞ্চিত আছেন, যারা কম সুযোগ সুবিধা পায়, তারা আদিবাসী হোক কিংবা ভূমিহীন হোক। দিনমজুর থেকে শুরু করে নারী, প্রতিবন্ধীসহ সকলের জন্য মানবাধিকার যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো যথার্থভাবে প্রতিপালন করা উচিত। সেটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারাবিশ্বে হওয়া উচিত। প্রত্যেকেই যেন সে তার অধিকার সঠিকভাবে পায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফর, মানবাধিকার হাইকমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীদের সাক্ষাৎ, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় খুশি কবির এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য খুশি কবির এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

খুশি কবির বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট আমাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। আমরা গিয়েছিলাম। আমাদের প্রত্যেকের কাজের আলাদা সেক্টরের ব্যাপারে জানতে পাওয়া হয়েছে আমরা হাইকমিশনারের কাছে সেটা তুলে ধরেছি। প্রতিটি দেশের বা রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সকল নাগরিকদের মানবাধিকার সমানভাবে নিশ্চিত করা। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আন্তর্জাতিক যতগুলো সনদ আছে যেগুলোতে সরকার স্বাক্ষর করেছে সে অনুসারে সকলের অধিকার নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন করা। শুধু আইন করলে হবে না এগুলোর সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা আশা করছি হাইকমিশনার মিশেল ব্যচেলেটের বাংলাদেশ সফর একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। 

তিনি আরও বলেন, সরকার বলছে যে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে না। কিন্তু আমরা দেখছি দেশে গুমের ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ ফিরে এসেছে। কিন্তু তারা দুই একজন ফিরে এসেছে। যারা গুম হচ্ছেন তারা বলছে তারা গুম হয়েছেন কিন্তু মন্ত্রী বলছেন গুম হয়নি। শুধু গুম নয় যাদের অবৈধভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, হাজতে রাখা হচ্ছে। তাদের কেউ কেউ মারাও গেছেন। যারা যারা গেছেন তারা তো হাজতের ভিতরেই মারা গেছেন সেটা তো সরকার অস্বীকার করতে পারে না। হাজতের ভিতর মারা যাওয়া সেটা তো সরকারের জন্য সাংঘাতিক নেতিবাচক দিক। সরকার তাদের হেফাজতে রেখে সঠিক চিকিৎসা করতে পারে না, চিকিৎসার জন্য মারা যাচ্ছে। সরকারের উচিত এটা নিয়ে তাদের ভাবা।

খুশি কবির বলেন, কলা বাগানের তেতুলিয়া মাঠের ঘটনার বেলায় আন্দোলনের কর্মী সৈয়দা রত্নাকে থানা ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবার ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তাকে ছেড়ে দিয়েছে যখন বিরাট আন্দোলন হচ্ছে, থানার সামনে উদীচীরা বসে যখন অবস্থান নিয়েছে। যদি কিছু না হয়ে থাকে তাহলে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হলো কেন। সরকার জনসম্মুখে কিছু বলছে না যে, আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। জনসম্মুখে সেটা যুক্তরাষ্ট্র সরকারও বলে না, যুক্তরাজ্য সরকারও বলে না। ইউরোপের কোনো সরকারও বলে না। কোনো উন্নত দেশের সরকারও বলেছে না যে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে কিন্তু সেটা তারা মানছে। আমি আমার দেশকে চাই আমার সংবিধান অনুযায়ী আমার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭