ইনসাইড বাংলাদেশ

ভয়ঙ্কর পরিকল্পনায় সুশীল সমাজ: টার্গেট শান্তি মিশন


প্রকাশ: 16/08/2022


Thumbnail

বাংলাদেশের সুশীল সমাজ এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য তাদের ত্রিমাত্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে তারা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ত্রিমাত্রিক পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রথমত, সরকারের অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে নানা রকম অসত্য তথ্য বিভ্রাট করে জনমানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বর্তমান সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানো। তৃতীয়ত, বিরোধী দলগুলোকে উস্কে দিয়ে তাদেরকে সহিংস আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করা এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। এই তিন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ। আর এই সুশীল সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সুশীল সমাজের এখনকার যে ভূমিকা সেই ভূমিকাটি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি সিপিডি, টিআইবিসহ বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে সরকারবিরোধী প্রচারণার জন্য রীতিমতো উসকে দিচ্ছেন এবং ব্যবহার করছেন।

সুশীল সমাজের প্রথম লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো। আর এ লক্ষ্যে কাজ করছে সিপিডি, টিআইবিসহ বেশকিছু সংগঠন। সিপিডির এখন একমাত্র কাজ হলো দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে প্রতিনিয়ত অর্ধসত্য-মিথ্যা নানা রকম তথ্য প্রকাশ করা। আর এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং প্রিয়জন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এছাড়াও সুশীল সমাজের অন্যান্যরাও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে নানা রকম তথ্য দিচ্ছেন, যে তথ্যগুলো প্রায় অর্ধসত্য, যা মিথ্যের চেয়েও ভয়ঙ্কর। সুশীল সমাজ এই সমস্ত তথ্য দিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করতে চাচ্ছে।

সুশীলদের দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশবিরোধী প্রচারণা। এই কাজেও সুশীলরা অনেকখানি এগিয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে বাংলাদেশের নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলা শুরু করেছে। বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়াও সুশাসন, মানবাধিকার নিয়ে নানারকম কথাবার্তা বলছে।  শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা না, ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও সুশীল সমাজ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে। সম্প্রতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার  মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশ সফর করছেন। এটিতেও সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইত্যাদি দিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে যেন সরকারে ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নজরদারি বাড়ে।

সুশীল সমাজের তৃতীয় লক্ষ্য হলো, বিএনপিকে জঙ্গি সহিংস আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করা। আর এ কারণেই বিএনপি যেন দ্রুত আন্দোলনে যায়, রাজপথের আন্দোলনে যায় সেজন্য সুশীল সমাজের অনেকেই নিয়মিত যোগাযোগ করছে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছে এবং সুশীল সমাজ মনে করছে যে, রাজপথে আন্দোলন বিরোধী দলগুলো করতে পারুক না পারুক তাদেরকে যেন নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যায়। যদি আগামী নির্বাচনে বিএনপি, জাতীয় পার্টি কেউই অংশগ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে সুশীলদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ অপেক্ষা করছে বলে তারা মনে করছে। কারণ, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ না করলে সেই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হলে জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর নানারকম স্যাংশান আরোপ করতে পারে।

সুশীলদের মূল লক্ষ্য হলো, যদি রাজপথে আন্দোলন বিরোধী দলগুলো বেগবান না করতে পারে, যদি তারা 'লাশ ফেলতে না পারে' তাহলে নির্বাচন থেকে তাদেরকে দূরে রাখা এবং নির্বাচনের পরে সরকারকে চাপে ফেলা। যেন এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয় যে পরিস্থিতিতে সরকার সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সুশীলদের ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হয় । আর এ কারণেই তাদের লক্ষ্য হলো জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ যেন যেতে না পারে সেজন্য প্রক্রিয়া করা। এখন মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি নিয়ে যত কথা বলা হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য হলো জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের গর্বিত সেনা সদস্যদের যাওয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা। সেটি করলে দেশের ক্ষতি যতটাই হোক না হোক, সুশীলদের অনেক বড় লাভ হবে। সেই লক্ষ্যেই সুশীলরা ভয়ঙ্কর এক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭