ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সংকটের নেপথ্যে সুশীল সমাজ!


প্রকাশ: 19/08/2022


Thumbnail

দেশে দেশে চলছে অর্থনৈতিক সংকট। অনুন্নত, উন্নয়নশীল এমনকি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এই সংকট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার ধকল সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশেও এই অর্থনৈতিক সংকট চলছে। কিন্তু এই সংকটকে একটি বিশেষ গোষ্ঠী অতিরঞ্জিত করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে আইএমএফ এর কাছে ঋণ প্রস্তাব, ডলারের অস্থিতিশীলতা, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ ইত্যাদি বিষয়ে নানা নেতিবাচক আলোচনার কারণে দেশের অর্থনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষ এখন নেতিবাচক ধারণই পোষণ করছেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্ন কথা জানালেন আইএমএফ-এর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের ডিভিশন চিফ রাহুল আনন্দ। এক অনলাইন সভায় বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন যে, বাংলাদেশ কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে নেই। বরং বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশ ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তুলনামূলক অল্প, যা জিডিপির ১৪ শতাংশের মতো। শুধু তাই নয় তিনি বাংলাদেশের ঋণ খেলাপি এবং রিজার্ভ নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কা থেকে ভিন্ন। দেশটির  ঋণখেলাপির পথে যাওয়ার ঝুঁকিও কম। বাংলাদেশের রিজার্ভের বিষয়ে রাহুল বলেন, বর্তমান রিজার্ভ দেশটির চার থেকে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এর প্রতিবেদন মতে বাংলাদেশকে অনুকরণ করার কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। ‘লেটস রিসেট শ্রীলঙ্কা’ শীর্ষক এক সম্মেলনে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে বাংলাদেশের উদাহরণ টানেন তিনি। আমরা যখন দেশকে শ্রীলঙ্কার হওয়া কথা বলছি শ্রীলঙ্কা তখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করার কথা ভাবছে।

সঙ্গত কারণেই এখন প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে সুশীল মহল এবং দেশের কথিত কিছু অর্থনীতিবিদ যেভাবে সংকট নিয়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচক কথা বলেছেন সেই সংকটের গভীরতা আসলে কতটুকু। বিশেষ করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া আইএমএফ এর কাছ ঋণ প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে সংকট নিয়ে গণমাধ্যমে যেভাবে নেতিবাচক কথা বলেছেন তা আইএমএফ এর বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক।

বিশ্লেষকরা বলছে, দেশে অর্থনৈতিক সংকট আছে ঠিকই কিন্তু এই সংকটকে যেভাবে প্রোমশন করা হচ্ছে তাতে কারো বিশেষ কোনো স্বার্থ আছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অথচ এর আগেও বাংলাদেশ আইএমএফ এর কাছে ১০ বার ঋণ চেয়েছিল। তাছাড়া রেমিট্যান্স নিয়ে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল সেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৬ দিনে ১১৭ কো‌টি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। তাহলে সংকট নিয়ে যেভাবে উস্কানি দেওয়া হয়েছিল এর পিছনে কি কোনো উদ্দেশ্যে আছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭