ইনসাইড বাংলাদেশ

বিভিন্ন ইস্যুতে নিজস্ব উদ্যোগে তথ্য সংগ্রহ করছেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশ: 19/08/2022


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান এবং বিভাগ থেকে যে তথ্যগুলো দিচ্ছে সেই তথ্যগুলোর সঙ্গে প্রায়ই বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এসব তথ্য গুলো যাচাই-বাছাই করছেন এবং বিকল্প উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সরকারের সূত্রগুলো বলছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে তথ্যগুলো দেয়া হয়েছিলো সেই তথ্য গুলো সঠিক কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

এই প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে সরকারের একটি সূত্র বলছে, যেমন- জ্বালানি তেলের মূল্য। জ্বালানি তেলের মূল্য যখন বিশ্ববাজারে বেড়ে যায়, তখন প্রধানমন্ত্রীকে এ সম্বন্ধে কোনোকিছুই অবহিত করা হয়নি। যখন এই মূল্য কমে যায় তখন জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো হয়। এখন আবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য কতটুকু বেড়েছে বা কমেছে, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিষয়ও যে তথ্যগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহল থেকে দেওয়া হচ্ছে সেই তথ্যগুলো সঠিক কিনা, এ ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখভাল করছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হালনাগাদ অবস্থা কি, এই সম্বন্ধে এখন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে তিনি এ নিয়ে সরাসরি কথা বলছেন বলেও জানা গেছে। ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ঊর্ধ্বগতির বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী এখন খতিয়ে দেখছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে দাম বেড়েছে এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যতটুকু দাম বাড়ার কথা তারচেয়েও মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে অনেক পণ্যেরই। বিশেষ করে যে সমস্ত পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে নির্ভরশীল নয় সে সমস্ত পণ্যগুলোর মূল্য কেন, কিভাবে বাড়লো, এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। বিশেষ করে ডিম, চালের মতো পণ্যগুলোর দাম হু হু করে বাড়ছে কিভাবে, সে সম্পর্কেও এখন প্রধানমন্ত্রী বিকল্প উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন।

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, এটি মোটামুটি নিশ্চিত যে বাজারে চাল, ডিম ইত্যাদি কিছু পণ্যের দাম সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট কারা কিভাবে এই সিন্ডিকেট গুলো সংঘটিত হচ্ছে এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং এর সাথে সরকারের কোনো মহল বা কেউ জড়িত কিনা, সেটিও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই জড়িত থাকার কারণে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে কেউ কেউ অভিমত দিয়েছেন। আর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এখন সরকারের পক্ষ থেকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। এই ফ্যামিলি কার্ডের ক্ষেত্রেও কোনো অনিয়ম হচ্ছে কিনা, পক্ষপাত হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর নিজে তার নিজস্ব উদ্যোগ থেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি সারাদেশে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখে। বিশেষ করে, এই সময় যে সমস্ত মানুষ কষ্টে আছে তাদের পাশে যেন নেতাকর্মীরা গিয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন যে পরিস্থিতি সম্পর্কে যথাযথ তথ্য-উপাত্ত অনেক ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হচ্ছেনা। আর যে কারণে এই তথ্য-উপাত্তের বিকল্প উৎস থেকে প্রকৃত তথ্য নিচ্ছেন যেন জনগণের দুর্দশা কিছুটা হলেও লাঘব করা যায়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭