'খালেদা জিয়ার নির্দেশে তার ছেলে তারেক রহমানের হুকুমে পাকিস্তান থেকে জঙ্গী, মৌলবাদী, ভারাটে সন্ত্রাসী এনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষক ও মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর, একাত্তরের চিহ্নিত রাজাকার জামায়াতের মন্ত্রী মুজাহিদ বৈঠক করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলো' বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সিংড়া উপজেলার ১৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াইফাইয়ের রাউটার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, এগুলো আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে। তারা তো সব জানে না। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে ফেসবুকে সরকারকে গালি দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় তরুণরা। তারা জানে না, ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে এদেশের ৩০ শতাংশ বাড়িতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৩ বছরে আমরা সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছি। ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছি। ৬৫ হাজার প্রাথমিক স্কুলে, ৩৫ হাজার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে, সাড়ে ৩ হাজার কলেজে, ২ হাজার ২৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে, ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে, সাড়ে ৩ হাজার ভূমি অফিসে, ১৮ হাজার কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকে। সব মিলিয়ে আমরা ১ লাখ ৯ হাজার হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড সংযোগ আমরা পৌঁছে দেব আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও আগে উন্নয়নশীল দেশ হতো, প্রযুক্তি নির্ভর হতো। সেই উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হত্যা করতে চেয়েছিল পাকিস্তানি এজেন্টরা। তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে। তারা এদেশের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকদের হত্যা করেছে। ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানী করেছে। তারা দেশকে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত করেছে।
বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরে দেশকে সাজিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়তে কাজ করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও সুশাসন উপহার দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলো উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান, শামীমা হক রোজী, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলী আশরাফ প্রমুখ।