ক্লাব ইনসাইড

ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতাদের কাছে ক্ষমা চাইলো ছাত্রলীগ কর্মীরা


প্রকাশ: 22/08/2022


Thumbnail

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাড়াও ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার’ (স্যাট)-এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এসে ক্ষমা চান তারা। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেফতাহুল মারুফের বিভাগের মেসেঞ্জার গ্রুপে করা এক মন্তব্যকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী ও জঙ্গি কার্যকলাপ’ আখ্যা দিয়ে শাহবাগ থানায় তুলে দেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।

পরে শুক্রবার দুপুর ১২টার সময় অভিযোগের কোনো প্রমাণ না পেয়ে মেফতাহুল মারুফকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তাকে থানা থেকে নিয়ে আসার সময় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন স্যাটের প্রতিষ্ঠাতা ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত ও স্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাইদ খান।

এ ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তানজির আরাফাত তুষার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হেদায়েতুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইত্তেজা হাসান রাকিব, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মাসরুর রুদ্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সুমন আলী, এফ রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী রোকনুজ্জামান রোকন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ কর্মীদের পক্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইত্তেজা হোসেন রাকিব বলেন, ‘আমাদের এক বন্ধুকে মারধর করা হচ্ছে এমন মিস ইনফরমেশন পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে উনাদের আঘাত করে বসি। আমরা ইচ্ছেকৃতভাবে এমনটা করিনি। এর দায় সম্পূর্ণ আমাদের, ছাত্রলীগের নয়। ছাত্রলীগ থেকে আমাদের আদেশ করা হয়নি, আমরা ব্যক্তি উদ্যোগে এখানে এসেছি।’

স্যাটের প্রতিনিধি আনাস ইবনে মুনির বলেন, ‘আমাদের হেড অব ডিরেক্টরস সালেহ উদ্দিন সিফাত ও ডকুমেন্টেশন ডিরেক্টর আহনাফ সাঈদ খানের ওপর তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুজনই ঢাকা মেডিক্যাল চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা এ ঘটনা মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন কিছু না করার কথা দেওয়ায় আমরা মামলা করা থেকে বিরত থাকছি।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, ‘এটি একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে তারা তো নয়ই বরং কোনো ছাত্রলীগ কর্মী ক্যাম্পাসের কোনো শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করবে না। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭