ইনসাইড টক

‘শিক্ষকরা আন্তরিক হলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ঘাটতি তৈরি হবেন না’


প্রকাশ: 23/08/2022


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুইদিন ছুটির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সরকার এটি একটি বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এখন কৃচ্ছতা সাধণ নীতি অবলম্বন করছে। এখন যে পরিস্থিতি আছে সারা বিশ্বে জ্বালানি তেল ডিজেলের সংকট। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়। সুতরাং কৃচ্ছতা সাধণ নীতি থেকেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া আগে থেকেই অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুইদিন বন্ধ ছিল। শুধু সরকারি কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এটা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে থেকেই শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ ছিল।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এদিকে আগে থেকেই করোনার প্রাদুর্ভাবে শিক্ষার্থী একাডেমিক কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখন নতুন করে কোনো ধরনের চাপ তৈরি হবে কিনা এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, আমাদের সবার আন্তরিকতা থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন দুইদিন বন্ধ থাকলে কোনো সমস্যা হবে না। অর্থাৎ শিক্ষকরা আন্তরিক হলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কোনো ঘাটতি তৈরি হবেন না। এখন বন্ধের দিনের ক্লাসগুলোকে অন্যদিনে সমন্বয় করতে হবে। আগে হয়তো প্রতিদিন চার ঘণ্টা বা পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হতো। কিন্তু এখন হয়তো অতিরিক্ত এক ঘণ্টা ক্লাস করতে হবে পারে কিংবা প্রতি ক্লাসের সময় ৫/১০ মিনিট কমিয়ে এগজাস্ট করা যেতে পারে। সে রকম কিছু একটা করতে হবে। যে কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুইদিন ছুটি রাখা হচ্ছে সেটা তো আমাদের সমস্যা নয়। সারা বিশ্বেই এই সমস্যা আছে। আমাদের যেটা সমস্যা সেটা হলো করোনার সময় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সেটা যেন কোনোভাবে না বাড়ে। এখন শিক্ষকদের একটু অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে পারে, সেটা জন্য যেন শিক্ষকরা প্রস্তুত থাকনে এবং এব্যাপারে যেন তাদের আন্তরিকতা থাকে। আন্তরিকতা থাকলে তাহলে আর কোনো সমস্যাই থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, এতো দিন শিক্ষকরা প্রায় অভিযোগ করে আসছে যে, শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে, ক্লাসে তেমন কিছু পড়ে না। শুধু কোচিংয়ে যায়। কিন্তু এখন আবার একদিন স্কুল বেশি বন্ধ শিক্ষার্থীদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। এটা তো শিক্ষকদের স্ববিরোধী কথাবার্তা। আমি প্রত্যাশা করবো যারা সিনসিয়ার শিক্ষক আছেন, যারা শিক্ষা প্রশাসনে আছেন তারা শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা যেন ঘাটতিতে না পড়ে সেজন্য তারা একটু সচেতন থাকবে। যেমন এখন হয়তো একটু শিক্ষার্থীদের বেশি সময় দিবে, তাদের হোমওয়ার্ক দিবে, বেশি করে পড়ানো গতে পারে ইত্যাদি। এভাবে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭