বার্সা–পিএসজিসহ মোট ২০টি ক্লাবের বিরুদ্ধে উয়েফার তদন্ত

আর্থিক সংগতি নীতি (এফএফপি) লঙ্ঘন করার দায়ে ইউরোপের বড় ২০টি ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উয়েফা। এই তালিকায় রয়েছে স্পেনের বার্সেলোনা; ইতালির ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, এএস রোমা এবং ফ্রান্সের পিএসজির মতো কূলিন ক্লাব। ২০২০–২১ মৌসুম নিয়ে এই তদন্ত করছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার খপবরে অনুযায়ী, নীতিমালা ভাঙায় দায়ে শাস্তি পেতে পারে বার্সাসহ আরও কয়েকটি ক্লাব। সম্ভাব্য শাস্তির আওতায় থাকা ক্লাবগুলো হলো যথাক্রমে পিএসজি, মার্শেই, ইন্টার মিলান, এএস রোমা, জুভেন্টাস ও বার্সা। ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে উয়েফার সঙ্গে আদালতে মামলা লড়ছে জুভেন্টাস ও বার্সা। এই লড়াইয়ে তাদের সঙ্গী হিসেবে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও।

এদিকে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমস তাদের খবরে জানিয়েছে, আর্থিকভাবে জরিমানা করা হতে পারে পিএসজি ও মার্শেইকে। এছাড়া আর্থিক জরিমানার চেয়েও কঠিন শাস্তির আওতায় পড়তে পারে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার, জুভেন্টাস, রোমাসহ স্প্যানিশ ক্লাব বার্সার বিরুদ্ধে । দলবদলের মৌসুমে খেলোয়াড় কেনারম পাশাপাশি প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে ক্লাবগুলো।

উয়েফা এখন যে আর্থিক সংগতি নীতি চালু রেখেছে, তার অধীনে এটাই শেষ মৌসুম। ২০২৩ সাল থেকে এফএফপিতে চালু করা হবে নতুন নিয়ম। খেলোয়াড়দের বেতন, দলবদল ও এজেন্ট ফি নিয়ে ক্লাবগুলো এমনিতেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে। আগামী বছর থেকে এসব খাতে ক্লাবের আয় বুঝে খরচের সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। ২০২৩ সালে মোট আয়ের ৯০ শতাংশ এসব খাতে খরচ করতে পারবে ক্লাবগুলো। একইভাবে ২০২৪ সালে ৮০ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ৭০ শতাংশ খরচ করা যাবে।

জানা গেছে, পিএসজি তিন বছর ধরেই উয়েফার আর্থিক সংগতি নীতির একটি মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, আর তাই বিষয়টি শুধরে নিতে ফরাসি ক্লাবটিকে তিন বছর সময় বেঁধে দিয়েছে উয়েফা। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপ জানিয়েছে, গত তিন বছরে প্রতি মৌসুমেই প্রায় তিন কোটি ইউরো লোকসান গুনেছে পিএসজি। ক্লাবটিকে এই অবস্থা পাল্টানোর নির্দেশ দিয়েছে উয়েফা।