ইনসাইড থট

বদলে যাওয়া বাংলাদেশ 


প্রকাশ: 24/08/2022


Thumbnail

অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার পদ্মাসেতু অতিক্রম করলাম। জুন মাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া হলেও সেদিন ওপারে যাওয়া হয়নি। আজকের সকালটা ছিল অন্য রকম। আলো ঝলমলে সূর্যোদয় থেকে দিনের নির্মল আকাশটা আমার সঙ্গে সঙ্গেই ছিল। যেন শরৎশোভিত নির্মল বায়ুর পৃথিবীর পরে নীলাকাশ। ঢাকা থেকে বের হয়ে দীর্ঘ ফ্লাইওভার পেয়ে উড়ে চলে আমার গাড়ি। ছুটির দিন হওয়ায় যানজটের বালাই নেই। টোল-দেয়া মসৃণ সড়কের স্বপ্ন আমার আজন্ম লালিত। বিশ বছর আগেও বিদেশ থেকে ফিরেই আফসোস করতাম আমাদের জীবদ্দশায় এমন সড়ক যোগাযোগ হবে কী? টোল দিয়ে ভ্রমণ- সেবা গ্রহন করা যায়। সেই স্বপ্ন যেন এখন হাতের মুঠোয় ধরা পড়েছে। ঢাকা-মাওয়া সড়কটির পরিসর ইউরোপ আমেরিকার হাইওয়ের মতন সুবিস্তৃত না হলেও বলা যায়  একই  আদলে নির্মান করা হয়েছে। গাড়ির গতিই বলে দেয় আমরা আর পিছিয়ে নেই। আমাদের দুটো গাড়িতে চার প্রজন্মের সম্মিলন ঘটেছে। শাশুড়ি, সন্তান এবং নাতনি এক সঙ্গে যাচ্ছি। সবাই আনন্দ উৎফুল্লতায় সেল ফোন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। মাত্র পঁয়ত্রিশ মিনিটে সেতুর টোল পয়েন্টে গিয়ে থামি। বাংলাদেশের বৃহত্তম এ সেতু অতিক্রম করার সময় নিজেও ফটো তোলার আগ্রহ সংবরণ করতে পারি নি।  মুহূর্তের জন্য নেমে পড়ি। পুনরায় গাড়ি চলছে এবং মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ওপারে পৌঁছে যাই। 

২) পদ্মাসেতুর বহুমুখী সংযোগ সড়ক রয়েছে । আমরা সোজা গোপালগঞ্জের দিকে যাচ্ছি। অসাধারণ মানের সিল্কী রোড বলতে যা বোঝায়। দু'পাশে আবহমান সবুজের সমারোহ। আমি দু'চোখ মেলে ধরি দিগন্ত রেখায়।  ক্রমাগত পেছনে ফেলে আসা বৃক্ষতরুছায়ার হাতছানিতে এগিয়ে যাচ্ছি। পথে মাদারীপুরের কিছু পরিচিত স্হান পেরিয়ে মকসুদপুর, কাশিয়ানীর দিকচিহ্ন দেখতে পাই। বামে মোড় নিয়ে গোপালগঞ্জে পৌঁছতে আমাদের সময় লাগে মাত্র দু'ঘন্টা। শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর মাজার দর্শন করার সিদ্ধান্ত নিই। পথে বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোরের ঐতিহাসিক গিমাডাঙা স্কুলটি দেখি। একটু এগিয়ে মূল রাস্তা থেকে মাত্র মিনিটদুয়েক। জাতির পিতার মাজারে হাজির হলাম। আমার  এবারের দেখায় একটু ভিন্নতা আছে। জিয়ারত  পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক বাড়ির অন্দরমহলে প্রবেশ করি। আভিজাত্যের প্রতীক পুরনো লাল ইটের অট্টালিকার ভগ্নাংশের কাছে গিয়ে পরখ করে দেখি। অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের ঘর বাড়িও দেখার চেষ্টা করি। যা আগে এতটা তন্ন তন্ন করে জানার সময় নিই নি। উল্লেখ করা যায়, বঙ্গবন্ধুর মাজারে আমি প্রথম যাই ১৯৯৫ সালে। তখন আজকের মতন জনারণ্য ছিল না। নিরবতার মাঝেও পুরো ভাবগাম্ভীর্যের উন্মুক্ত  আবহ ছিল। নিভৃতেই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আসা যাওয়ার সুযোগ ছিল। একই পথ ছিল, তবে মাওয়া ঘাটের দীর্ঘ যানজট আর ফেরিতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপারের দৃশ্য আজও ভুলি নি। দ্বিতীয়বার যাই ২০২০ সালের  শুরুতে সরকারের সচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে। এবার নিয়ে তৃতীয়বার। এখন প্রটোকলের ঝামেলা নেই। সরকারি কোনো কিছুর সহযোগিতা নেই। স্বাধীন, সয়ংক্রিয় ও স্বতঃপ্রণোদিত। তবে পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য আমার দেড় বছর বয়সী নাতনিকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি। অনেকটা সময় নিয়ে চারপাশের পরিস্থিতি অবলোকন করার কোনো জুড়ি নেই। আমাকে তাড়াহুড়ো করতে হয়নি একবিন্দুও। আমি আমার মত করে হাঁটছি আর ভাবছি, শত বছরের পুরনো এ জনপদকে। 

৩) আমরা যাব পিরোজপুরে। একজন অনুজ সহকর্মীর কাছে শুনে বিস্মিত হই। খুব কাছেই নাকি। ছাত্র জীবনে বরিশাল, পটুয়াখালী,  পিরোজপুর, ঝালকাঠি ইত্যাদি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্হার কথা শুনলে ভয় হতো। আর আজকের দিনে জেলা থেকে জেলায় পৌঁছে যাওয়া ঘন্টা নয় মিনিটের আওতায় চলে এসেছে। মধুমতী নদী পার হতেই চিতলমারী উপজেলার নাম। একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি। চারদিকে বৃক্ষ লতাপাতার আধিক্য, শস্য-শ্যামলা বাংলার চিরন্তন মুখ দেখে মোহিত আমি। এক ঘন্টা সময়ে পিরোজপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছি। এ শহরেই ছেলের শ্বশুরালয়ের আমন্ত্রিত অতিথি আমরা। পারিবারিক দাওয়াত রক্ষা করার নিমিত্তই প্রথম আগমন। জেলা প্রশাসনের বদান্যতায় সেখানেই রাত্রিযাপন করি। বেশ কতক্ষণ মুষলধারে বৃষ্টি ছিল।আকাশ পরিস্কার হলে এক তরুণ কর্মকর্তাকে নিয়ে রাস্তায় কিছু সময় হাঁটি। পরদিন শুক্রবার। গতরাতে আকাশ মেঘলা ছিল তা বোঝার উপায় নেই। ভীষণ সুন্দর আবহাওয়া। সকালে স্হির করি বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে নামাজ আদায় করব। পিরোজপুর থেকে মাত্র বিশ মিনিটের পথ। ভাবা যায় ? নিয়নসাইনে ঝলমল করছে  পরিচ্ছন্ন হাইওয়ে। ঝকঝকে তকতকে রাস্তা। মনে হয়, এটা চিরায়ত ও চিরকালের বাংলাদেশ নয়। রাস্তার দু'পাশে গ্রোথ-সেন্টার, হাট-বাজার বিচিত্র পেশার মানুষের যান্ত্রিকতা ও কর্মব্যস্ত ছুটাছুটি। তুলনামূলক ভাবে গাছপালায় ভরপুর লোকালয় আর অলিতে গলিতে বিদ্যুৎ। কনক্রিটের রাস্তায় শত শত বাস, ট্রাক, ট্যাক্সি অটোরিকশার রাজত্ব। আজকের মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে গতিময়তা। বিনা নোটিশেই বাগেরহাট সার্কিট হাউসে প্রবেশ করি। উদ্দেশ্য অজু করে ষাটগম্বুজ মসজিদে নামাজ আদায়। পরিচয় দিলে একটা কক্ষে যাওয়ার অনুমতি পাই। কয়েক মিনিট পর নিচে নেমে আসি। এবার সোজা মসজিদে। বিশাল  পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে খানজাহান আলী (রঃ) জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করি। আহা! কী নান্দনিক দিঘি! কত সুবিস্তৃত এর অবয়ব। দেশের বড়ো এক প্রাকৃতিক সম্পদ। উল্লেখ্য, এ জায়গাগুলোতে ইতোপূর্বেও গিয়েছি। তবে এমন গভীর অভিনিবেশে পূর্বে দেখা হয়নি। মসজিদ ভর্তি মুসল্লী। স্মরণ করার মত চমৎকার বয়ান করেছেন মধ্যবয়সী ইমাম সাহেব। বিলম্বে আসা একজন অধস্তন কর্মচারি জায়নামাজ হাতে ছুটাছুটি করছিল তার জেলাপ্রধানকে সামনের সারিতে আসন পেতে দেয়ার জন্য। এটা সত্যিই অসৌজন্যমূলক ছিল। আমি ভেতরটা মনযোগ দিয়ে দেখলাম। পিলার ষাটটির মত। গম্বুজের সংখ্যা বেশি মনে হল। তবু ষাটগম্বুজ।  সংখ্যাতাত্বিক পন্ডিতগন মনে করেন মসজিদটি খানজাহান আলীর জীবদ্দশায় অর্থাৎ ১৪৫৯ সালের আগেই নির্মিত। জানা যায়, বাগেরহাট এবং মসজিদটি আশির দশকেই  ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। 

৪) নামাজ আদায় করা হয়েছে। যাব খুলনা থেকে যশোর-সাতক্ষীরার পথে কেশবপুরে। আমরা কপোতাক্ষ নদ এবং সাগরদাঁড়ির মধু কবির জন্মভিটা দর্শন করতে চাই । বাচ্চাদের আগ্রহ দেখে আমি বরং ভবিষ্যতের প্রশ্নে আশাবাদী হলাম। বাগেরহাট থেকে ঘন্টাখানিক বাদেই চৌরাস্তার মোহনায় এসে দাঁড়াই । বামে মোংলা বন্দর, ডানে রূপসা ব্রীজের দিকচিন্হ। সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়, সবই নতুন করে সাজানো ব্রীজ-কালভার্ট, হাইওয়ে, উড়ালপথ, রেললাইনের সংযোজন ইত্যাদি। ভাবছিলাম, দেশব্যাপী অবকাঠামো নির্মাণের এমন বিরামহীন কর্মযজ্ঞ সকলের  নজরেই পড়া উচিত ? আমরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিশ্বরোড হয়ে জিরোপয়েন্টে পৌঁছে যাই। সবাই মিলে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার চুইঝাল খ্যাত গো-মাংস দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে নিই। এবার ডুমুরিয়া হয়ে চুকনগর এবং সাগরদাঁড়ির দিকে যাচ্ছি। রাস্তার দু'দিকে বড়ো বড়ো চিংড়ি ঘের,খেজুর ও তালগাছের প্রাচুর্য চোখে পড়ার মতো।  বাতাসের বেগে চলছে গাড়ি। এখন নিমিষে উপজেলা, জেলা, বিভাগকেও পেছনে ফেলে আসা সম্ভব। কেশবপুরের নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত মাইকেল মধুসূদন দত্তের কপোতাক্ষ নদ পর্যন্ত আমার সঙ্গী হয়ে কৃতার্থ করেন। 

৫) বাংলাভাষা-সাহিত্যের দিকপাল কবি, অমিত্রাক্ষর ছন্দের যাদুকরী স্রস্টা ও বিস্ময়- মানব বাঙালির মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভিটায় আগেও গিয়েছিলাম। তবে এত সুক্ষাতিসুক্ষ ভাবে দেখা হয়নি। সবার মত গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে দিয়ে ফটোসেশান আর "দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব বঙ্গে, তিষ্ঠ ক্ষণকাল" এর বাইরে কিছু নয়। এবারই রাজ নারায়ণদের ঐতিহ্যধারক পুকুর, কাচারিঘর, যাদুঘর, অন্যান্য ভাইদের ব্যবহৃত ঘর, কবির জন্মস্পট, প্রত্নতাত্বিক বিভাগের কর্ম, জমির পরিমাণ, কবির আমৃত্যু লালিত শৈশবের কপোতাক্ষ নদ, ঘাটলা এবং শেষ প্রস্হানের চিন্হিত স্থান সবই দেখি। ভাবছিলাম, স্কুলে পড়া 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটিতে জন্মভূমির প্রতি কবির কী মায়াবী আকুতি প্রকাশিত। রাজবাড়ি থেকে দু'পা ফেলে কপোতাক্ষ তীরে আসলে যে কোনো শিক্ষিত বাঙালিকে নস্টালজিক হতেই হবে। বলা বাহুল্য, খ্রিষ্ট ধর্মে বিশ্বাস স্হাপন করে শেষবার কবি যখন তাঁর জন্মস্হানে আসেন, তাঁকে পরিবার এবং তৎকালীন সমাজ তাঁকে প্রত্যাখান করেছিল। দুঃখযাতনা, কষ্টবোধ আর মনোবেদনা নিয়ে তাঁকে কলকাতায় ফিরে যেতে হয়েছিল। প্রচন্ড অভাব-অনটন আর আর্থিক টানাপোড়েন নিয়ে ১৮৭৩ সালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতায় এই বহুভাষাবিদ পন্ডিত তথা  অভূতপূর্ব প্রতিভাবান মানুষটির জীবনাবসান হয়। 

৬) সন্ধ্যা নেমেছে চারদিকে। বৃষ্টির হালকা ছোঁয়ায় ক্রমেই সিক্ত হয়ে উঠেছিল গায়ে জড়ানো পোশাক। একই পথে ফিরে আসি কেশবপুর উপজেলা এলাকায়। আমরা যাব যশোরে। নির্বাহী কর্মকর্তার গাইড লাইন নিয়ে  আবার একই হাইওয়ে ধরি। গাড়ি চললো এক ঘন্টার মত। যশোর সার্কিট হাউসে এসে উঠি। জেলা প্রশাসন আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় কক্ষ বরাদ্দ দেয়। রাত্রিযাপন করব সেখানে।  তবে বিপত্তিকর হলো, বিকেল থেকে আষাঢ় মাসের মত মেঘলা আকাশ মাথায় নিয়ে ঘুরছি। কুয়াশার মত অস্পষ্ঠ বৃষ্টি পড়ছে। তবু সহযাত্রী একজনকে সঙ্গে নিয়ে ঐতিহাসিক এ সার্কিট হাউসের পুরনো আঙ্গিনার পরিপাটি  আম্রকাননে পায়চারি করি অনেকক্ষণ। ঘুমোতে যাওয়ার আগের লঘু ব্যয়াম বলা যায়। 

সকালে যশোর বিমান ঘাঁটিতে প্রশিক্ষনরত মাতৃহারা কনিষ্ঠ পুত্রের মাসিক বুক-আউট ছুটির সুযোগে আমরা তার সাথে সাক্ষাৎ করি। গোটা দিনই আমরা তাকে সঙ্গ দিই। শহরের জাবির হোটেলে একসঙ্গে লাঞ্চ করি। ফাঁকে যশোর রেলস্টেশন, সরকারি মাইকেল মধুসূদন  কলেজ ও কালেক্টরেট ভবন ঘুরে দেখি। এগুলো আজও বৃটিশ ভারতীয় ইতিহাসের অংশ হয়ে গৌরবময় আছে। 

৭) শেষ বিকেলে ছেলেকে বিমান বাহিনীর আবাসিক এলাকায় পৌঁছে দিয়ে সন্ধ্যা ছ'টার দিকে যশোর থেকে রওনা করে নড়াইল হয়ে কালনা ফেরির কাছে পৌঁছি। এ অঞ্চলের শেষ  ফেরি হিসেবে এটাও শীগ্রই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, আগামী মাসেই মধুমতী নদীর ওপর নির্মিত ছয় লেন বিশিষ্ট এক অত্যাধুনিক সেতুর দরজা খোলে দেয়া হবে। দূরপাল্লার যাত্রায় সময় কমে যাবে আরও বিশ মিনিট। গোপালগঞ্জকে ডানে রেখে ফরিদপুরের ভাঙা হয়ে আবার পদ্মাসেতুর টোল প্লাজায় হাজির হই। এক ঘন্টার কাছাকাছি এ রাস্তাটিকে পৃথিবীর যেকোনো উন্নত দেশের সাথে তুলনা করলে অযৌক্তিক কিছু হবে না। রাতের নিসর্গে সমগ্র পথে পথে মোহনীয় আলোকসম্পাতও অপরূপ লাগছিল। পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশ কী কম কিছু দিয়েছে? ঘুরে এসে যে কেউ এ রাস্তাকে নূন্যতম মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডের হাইওয়ের সঙ্গে তুলনা করতে পারবেন। 

এক সময়ে এ দৃশ্য কী বাংলাদেশের জন্য কল্পনাতীত ছিল না ? তবে আজ কিন্তু বাস্তব এবং হাতের নাগালের মধ্যে। এ অর্জনকে অত্যাশ্চর্য না বলে উপায় কী --সুদূর যশোর থেকে রাত দশটার পূর্বেই আমরা ঢাকার বাসায় পৌঁছে যাই। 

এটা কী শুধু পদ্মাসেতুর একক অবদান? আমি বলবো, নিশ্চয় না। বরঞ্চ বলা যায়, উন্নততর সড়ক যোগাযোগের বিস্ময়কর যাদুর কাঠিতে দক্ষিণ বাংলাসহ গোটা দেশই আজ পরস্পর সংযুক্তির জালে জড়িয়ে গেছে। যোজন যোজন দূরত্ব বলে এখন আর কোথাও কিছু অবশিষ্ট নেই। নিজের এক জীবনকালের মধ্যে এর চেয়ে বেশি কি প্রত্যাশা থাকতে পারে ! জয়তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। জয়তু বাংলাদেশ। 

পাঠক সমাবেশ 
৭ ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭