সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এ ব্যাপারে গত ২ আগস্ট বিএফআইইউর প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠিয়েছে বাজুস।
বাজুসের চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিয়ত দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার বড় হচ্ছে। সারাদেশে বাজুসের সদস্য রয়েছে ৪০ হাজারের মতো। ইতোমধ্যে এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প এখন রফতানির দিকে এগুচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না, চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে, ডলার সংকটের অন্যতম কারণ। বাজুস মনে করে, দেশে চলমান ডলার সংকট ও অর্থপাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের সিন্ডিকেট সোনার বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর সই করা চিঠিতে আরও বলা হয়, সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় আগ্রহী বাজুস।
বাজুসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই বিষয়ে বিএফআইইউ'র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।