লিভিং ইনসাইড

ফলের রস কেন খেতেই হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/01/2018


Thumbnail

ফলের রস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কখনো বাড়তি প্রয়োজনীয় হয় এই ফলের রস। যেমন এখন শীতকাল। এখন ঠান্ডা নয়, গরম পানীয়ের চাহিদা বাড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তবু বলবো এই ঠান্ডায় যদি শরীরকে চাঙ্গা রাখতে চান প্রতিদিন এক গ্লাস করে ফলের রস খেতে ভুলবেন না যেন!

না হলে কিন্তু...! রক্তে যদি সুগারের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে? কোনও চিন্তা নেই!সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ১০০ শতাংশ ফল দিয়ে বানানো রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি তো পায়ই না, উল্টে মেলে নানান উপকারিতা।

ফলের রসের সম্পর্কে আরও কিছু অজানা কথা জেনে নেওয়া উচিত-

ফলের রস খেলে কি সত্যিই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় না? এই বিষয়ে হওয়া গবেষণায় দেখা গেছে ফলের রসে ফল ছাড়া আর কিছু উপাদান যদি মেশানো না হয়, তাহলে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই না, সেই সঙ্গে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তবে বিষয়টা এখানেই শেষ হয়ে যায় না। কারণ বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে রোজের ডায়েটে ফলের রসকে জায়গা করে দিলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...

বেদানার রসের উপকারিতা

এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ, সি, ই এবং ফলিক অ্যাসিড, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এবং আর্টারির কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত বেদানার রস খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত খারাপ জীবাণুরা মারা পরে, ক্যান্সার রোগ আক্রমণ করার আশঙ্কা কমে, রক্তাল্পতা দূর হয় এবং ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে।

আপেলের রসের উপকারিতা

একটা প্রচলিত কথা আছে না, "প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে ডাক্তারের মুখ দেখার আশঙ্কা কমে।" এই কথাটা যে আপেলের রসের ক্ষেত্রেও প্রযোয্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে প্রতিদিন এক গ্লাস করে আপেলের রস খেলে শরীরে কুয়েরসেটিন নামক একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা ক্যান্সার সেলের জন্ম আটকানোর পাশাপাশি শরীরের অন্দরে হওয়া প্রদাহ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, আপেলের রস আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন- শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর করে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, রক্তাল্পতা দূর করে এবং ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়।

স্ট্রবেরি জুসের উপকারিতা

 এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, দেহের অন্দরে টক্সিক উপাদানদের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে প্রতিটি অঙ্গের উপর খারাপ প্রভাব পরে। সেই সঙ্গে নানাবিধ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই ভুলেও যাতে টক্সিক উপাদানের মাত্রা না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, স্ট্রবেরি জুস খাওয়া শুরু করলে ক্যান্সার রোগ তো দূরে থাকেই, সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে।

কমলা লেবুর রসের উপকারিতা:

এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং আরও অনেক উপকারি উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘাটানোর পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর করতে, হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

টমাটোর জুসের উপকারিতা:

এই সবজিটি কাঁচা অবস্থায় বা জুস বানিয়ে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে দেহের অন্দরে লাইকোপেন নামক একটি এনজাইমের উৎপাদন বাড়তে শুরু করে, যা শরীর এবং ত্বকের বয়স কমানোর পাশাপাশি ওজন কমাতে, হজম ক্ষমতার উন্নতিতে, কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমাতে এবং লিভার ফাংশনের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পলন করে থাকে।

পেয়ারার রসের উপকারিতা:

এই ফলটির অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে, কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রতিরোধে এবং হাড়কে শক্তপোক্ত করতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭