আমিরাতে কঠোর অনুশীলনে টাইগাররা

আগামী ২৭ আগস্ট আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে এশিয়া কাপের। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগামী ৩০ আগস্ট, শারজাহতে। ১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে সুপার ফোরে।

চূড়ান্ত হয়েছে এশিয়া কাপের গ্রুপিং। ‘বি’ গ্রুপের দল আগেই চূড়ান্ত ছিল। গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। চূড়ান্ত হয়েছে ‘এ’ গ্রুপ। বাছাইপর্ব থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে হংকং খেলবে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের গ্রুপে। 

এদিকে এশিয়া কাপে টাইগারদের নেতৃত্বে এবার সাকিব আল হাসান। এছাড়াও রাসেল ডমিঙ্গোকে বাদ দিয়ে সাকিব বাহিনীর ম্যাচ পরিকল্পনা করবেন টাইগারদের নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীরাম শ্রীধরন। এরই মধ্যে গত পরশু রাতে সাকিব বাহিনী দুবাই পৌঁছেছে। দুবাই পৌঁছে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) অনুশীলনে নেমেছিল সাকিবরা। দলের সঙ্গে পরে যোগ দিয়েছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ডান হাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। সবাই মোটামুটি ভালোই ঘাম ঝড়িয়েছেন অনুশীলনে।

১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসরে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এরপর থেকে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে টাইগাররা। ২০১০ সালের এশিয়া কাপ পর্যন্ত শুধু অংশগ্রহণেই সীমাবদ্ধ ছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সাল থেকে পাল্টে যেতে থাকে চিত্র। ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ফাইনাল খেলে। চার বছর আগে মরু রাজ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসেছিল এশিয়া কাপের আসর। সেবার ফাইনালে ভারতের কাছে শেষ বলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে এবং ২০১৬ সালে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছিল।

সাকিব বাহিনী আসরে অংশ নিচ্ছে নিয়মিত স্কোয়াডের তিন ক্রিকেটারকে বাইরে রেখে। ইনজুরির জন্য মাঠের বাইরে লিটন দাস ও ইয়াসির আলি। শেষ মুহূর্তে গোড়ালির ইনজুরিতে ছিটকে পড়েন ডান হাতি পেসার হাসান মাহমুদ। ফিট হতে না পেরে স্কোয়াড থেকেও ছিটকে পড়েন নুরুল হাসান সোহান। দলের ব্যাটিং লাইন শক্তিশালী করতে দলভুক্ত করেছে বাঁ হাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। দলে এখন স্পেশালিস্ট ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। তবে পাওয়ার হিটার হিসেবে খেলতে পারেন অধিনায়ক সাকিব, মুশফিক, আফিফের মধ্যে যে কোনো একজন।