ইনসাইড টক

‘গুমের অভিযোগ কেবলই রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা, সেটি জাতিসংঘ বুঝে গেছে’


প্রকাশ: 27/08/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। রোহিঙ্গা একটি আন্তর্জাতিক শরণার্থী সমস্যা। একটি মানবাধিকার এবং একটি মানবিক সমস্যা। এটার জন্যই উনি এসেছিলেন বাংলাদেশে। সারা বিশ্বে ১১ লক্ষ মানে ১.১ মিলিয়ন রিফিউজি ডিসপ্লেসড পপুলেশনকে এককভাবে স্থান দিয়েছে শুধু একটি রাষ্ট্র। সেটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ছাড়া এমন সাহস কেউ দেখায়নি। অথচ বাংলাদেশ খুবই ঘনবসতিপূর্ণ একটি রাষ্ট্র, তা সত্ত্বেও আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিক সহায়তা করলেন সেটাকে সারাবিশ্ব সাধুবাদ জানাচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের চার বছর মেয়াদ পূর্তি উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্সে দেয়া রিপোর্ট, বাংলাদেশ সফরসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ড. সেলিম মাহমুদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. সেলিম মাহমুদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন সরেজমিনে তাদের মানবাধিকার এবং মানবিক অধিকারের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে। তিনি আসার পর তার এ আগমনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বিএনপিসহ কিছু বিরোধীদল বললো যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার বিষয়ে এসেছেন। কিন্তু আসলে এটা সম্পূর্ণ ভুল। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোন ঘটনা ঘটেনি বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আসার মত কিছু ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু একটি গোষ্ঠী হইচই করেছে যারা নিজেরাই বাংলাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার ইতিহাস আছে। ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট -এগুলো সবই একই সূত্রে গাঁথা। এরা আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে চেয়েছিল।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, এক ধরনের সংশয় বা উদ্বেগ রয়েছে। সেই সকল দেশের তালিকা কিন্তু তারা প্রকাশ করেছে। প্রত্যেকটা দেশেই যেখানে যেখানে মানবাধিকার এবং মানবিক সংকট রয়েছে মিশেলের রিপোর্টে সেই সবগুলো আসছে। কোন কোন অঞ্চলে, কোন কোন দেশে, কোথায় কোথায় হয়েছে। এখন এই যে তারা গুম, খুনের কথা বার বার বলছে, গুম-খুনের জন্যও কয়েকটি দেশের নাম এসেছে। তিনি এই বিষয়ে উদাহরণ দিয়েছেন এবং ঘটনাগুলো বলেছেন। তিনি ভেনিজুয়েলার কথা বলেছেন। সেখানে বিক্ষোভে একটি ছেলের মারা যাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার একটি ছেলের কথা বলেছেন যেখানে তার মা বলেছেন ছেলেটি ২৭ বছর ধরে নিখোঁজ।

তিনি বলেন, গুম এর যে বিষয়টি সেখানে তিনি কয়েকটি দেশের নাম বলেছেন। সেখানে বাংলাদেশের বিষয়টি আসেনি। আসেনি এইজন্য যে, বাংলাদেশে এধরনের কিছু নেই। বাংলাদেশে গুম নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, এটা যে কেবলই রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সেটি তারা (জাতিসংঘ) বুঝে গেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেসকল তথ্য-উপাত্ত তাদেরকে আমরা দিয়েছি, তারা এগুলোকে আমলে নিয়েছে। তারা সন্তুষ্ট হয়েছে এবং তাদের রিপোর্টে এর প্রতিফলন ঘটেছে। মূলত এটাকে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা হিসেবে ব্যবহার করছে, এটা আসলে মানবাধিকারের কোনো বিষয় না। রাজনৈতিক একটি কাউন্টার করার জন্য তারা (বিএনপি) এই কাজটি করে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭