সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং অর্থনীতিবিদ ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বলছে ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই। অথচ ইভিএম প্রযুক্তিতে কারিগরি ত্রুটি রয়েছে, সমস্যা রয়েছে। ইভিএম দিয়ে কারসাজি করা যায়। এই কারসাজি একমাত্র নির্বাচন কমিশন এবং তাদের কর্মকর্তারাই করতে পারবেন। অর্থাৎ ইভিএমের নিয়ন্ত্রণ বাইরের কারও হাতে না থাকলেও নির্বাচন কমিশন ও কর্তাব্যক্তিদের হাতে আছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, ইভিএম দিয়ে কারসাজি করা যায় এটা তাদের কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু এটা দিয়ে যে কারসাজি করা যায় না সেটা প্রমাণের দায়িত্ব কমিশনের। তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে যে, ইভিএম এর মাধ্যমে কোনো কারসাজি করা যায় না।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে দেশের অধিকাংশ দলই জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধীতা করেছিলেন। অথচ এরপরও নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ড. বদিউল আলম মজুমদার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতির সমালোচনা করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা আগেও বলেছি যে, ইভিএম একটি দুর্বল যন্ত্র। নির্বাচন কমিশন যাই বলবে তা আমাদের মানতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ইভিএম নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলো। সেখানে অধিকাংশ দলই ইভিএম এর বিপক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলো। এর মধ্য দিয়ে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপেক্ষা করেছে এবং আবারও কমিশন প্রমাণ করলো যে, তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না।
তিনি বলেন, ব্যালট পেপার না হলে নির্বাচন কমিশন যা বলবে তাই চূড়ান্ত। এটা যাচাই করা কঠিন। নির্বাচন কমিশনের সততা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও ইভিএমের কারিগরি নিয়ে প্রশ্ন আছে।