সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে এনবিআরের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাজুস

সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এ ব্যাপারে গত ২৩ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বাজুস।

সাম্প্রতিক সময়ে বাজুস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুসের চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। সারাদেশে মানুষের সদস্য রয়েছে ৪০ হাজারের মতো। ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প এখন রফতানির দিকে এগুচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না, চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে, ডলার সংকটের অন্যতম কারণ। আমরা ধারণা করছি, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে আংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। বাজুস মনে করে, দেশে চলমান ডলার সংকট ও অর্থপাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের সিন্ডিকেট সোনার বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর সই করা চিঠিতে বলা হয়, সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় আগ্রহী বাজুস।