সাকিব আল হাসানকে ক্যাপ্টেন করা হলো। ঢাকঢোল পিটিয়ে টেকনিক্যাল কন্সাল্ট্যান্ট হিসেবে ভারত থেকে উড়িয়ে আনা হলো শ্রিধরন শ্রীরামকে। আছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও। বিভিন্ন বিতর্কিত কাণ্ডের পর সাকিবের সাথে বিসিবির আবারও মধুর সম্পর্ক। সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়ে কোচিং স্টাফসহ খেলোয়াড়দেরও কথার ফুলঝুরি। টি-টুয়েন্টিতে সফলতার মূলমন্ত্র যেন পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে বাঘের মত গর্জন করতে করতে এশিয়া কাপ সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু সেই বাঘের গর্জন মুহূর্তেই বিড়ালের গর্জনে রূপ ধারণ করেছে।
এশিয়া কাপে নিজেদের ১ম ম্যাচে আফগানিস্তানের সাথে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ৫৩ রান তুলতেই টপ-অর্ডারের ৫ জন ব্যাটসম্যান নেই। বাংলাদেশ যেন ক্রিকেট খেলাই ভুলে গেছে, ব্যাটারদের ব্যাটিং দেখে এমনটি মনে হওয়াটা বেশ স্বাভাবিকই। ওপেনিংয়ে অনভিজ্ঞ নাঈম শেখ এবং দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া বিজয়, দুইজনই উইকেট বিলিয়ে এলেন। অথচ ম্যাচের আগেই নাঈম শেখকে প্রশংসায় ভাসালেন শ্রিধরন শ্রীরাম! শুধু অনভিজ্ঞরাই নয়, ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অভিজ্ঞ সাকিবও যেন ভুলে গেলেন কিভাবে খেলেতে হয়, একই পথের পথিক অভিজ্ঞ মুশফিক। দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে হতাশা আরও বাড়িয়ে দিলেন। ক্রিকেটে নতুন এই দলটির সাথে এমন লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের দায় কিভাবে এড়াবে বিসিবি, খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফরা? মাঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এক প্রকার প্রমাণই করে দিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের বক্তব্যকে। বাংলাদেশ কি তাহলে আফগানিস্তানের চেয়েও সহজ প্রতিপক্ষ?
প্রশ্ন উঠেছে, পারফরম্যান্স যদি এমনই হবে তাহলে কেন এত ঢাকঢোল পেটালো বিসিবি? দর্শকদের প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে তুলে দিয়ে এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বিসিবি এবং খেলোয়াড়দের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাংলাদেশ কি জানে কিভাবে টি-টুয়েন্টি খেলতে হয়? জনগণের টাকা খরচ করে এমন হতাশাজনক এবং লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের চেয়ে খেলতে না যাওয়াই কি শ্রেয় নয়? এশিয়া কাপের পর আগামী ১৬ অক্টোবর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানেও এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতার চেয়ে কৃচ্ছতা সাধন করে দেশের উপকার করাই কি যথার্থ হবে না?