প্রকাশ: 30/08/2022
আফগানিস্তান-বাংলাদেশের পুরো ম্যাচ জুড়েই মনে
হচ্ছিল যেনো কোন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। প্রতি বলেই ছিলো টানটান উত্তেজনায় পরিপূর্ণ। অবশেষে সব উত্তেজনা ছাপিয়ে আফগানদের
কাছে হেরে এশিয়া কাপ
যাত্রায় হোচট খেলো টিম
সাকিব। নিজের সেঞ্চুরীর দিনে ব্যররথতাই ধরা দিলো অধিনায়কের হাতে।
১২৮
রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত
২০ ওভারের আগেই ৭ উইকেটে
ও ৯ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয়
আফগানরা। এরই সাথে নিজেদের সুপার
৪ আসন নিশ্চিত করলো রশিদ-নবিরা।
ইনিংসের
শুরুতেই আফগান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব
আল হাসান। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ১১ রান করে
সাজঘরে পাঠান স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে।
এরপর
হজরতউল্লাহ জাজাই ইনিংসকে বড় করার চেষ্টা
করলেও আর পারলেন না। মোসাদ্দেকের বলে লেগ বিফোরের
কবলে পড়ে ২৩ রান
করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তৃতীয়
উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ নবী দ্রুতই ফিরে গেলে
চাপে পড়ে আফগানরা। তবে
পরবর্তীতে সে চাপকে জয়
করে মাঠ ছাড়েন দুই
ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান।
১৭ বলে ৪৩ রানের ঝরো ইনিংস খেলেন তিনি।
এর আগে এশিয়া কাপের
নিজেদের প্রথম ম্যাচে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং
নিয়েছিলেন এই ম্যাচ দিয়ে
টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বে ফেরা সাকিব আল
হাসান।
আফগানদের
স্পিন বিষে নীল হয়ে
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭
উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তুলে
বাংলাদেশ।
ব্যাটসম্যানদের
প্রতি আস্থা রেখে আগে ব্যাট
করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। তবে
ব্যাটসম্যানরা যেন সেটার জন্য
মোটেই প্রস্তুত ছিলেন।
ইনিংসের
দ্বিতীয় ওভারে মুজিব বোলিংয়ে আসতেই ঘাম ছুটে যায়
বাংলাদেশের দুই ওপেনারের। সেই
ওভারের শেষ বলে তার
ক্যারম বল বুঝতে না
পেরে লাইন মিস করে
বোল্ড হন নাঈম (৮
বলে ৬)।
তার
পরের ওভারের শেষ বলে আড়াআড়ি
ব্যাটে খেলতে গিয়ে ব্যাটের সঙ্গে
বলের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন বিজয়, বল
গিয়ে আঘাত হানে পায়ে।
রিভিউ নিয়ে বিজয়ের ধীরগতির
ইনিংসের সমাপ্তি নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। সাজঘরে
ফেরার আগে ১৪ বলে
মোটে ৫ রান করেছেন
তিনি।
দুই
ওপেনারকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি মুজিব। নিজের
তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক
সাকিবকেও ধরাশায়ী করেছেন তিনি।
আগের
ওভারে পেসার নাভিন-উল-হকের টানা
দুই বলে দুই চার
মেরে শুরুতে উইকেট হারানোর চাপ হালকা করার
চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। তবে মুজিবের ঘূর্ণিতে
তাকেও হার মানতে হয়।
মুজিবের বলে জায়গা করে
নিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্প বাঁচাতে
পারেননি এই অলরাউন্ডার। দলের
বিপদ বাড়িয়ে ফিরেছেন ৯ বলে ১১
রান করে।
এরপর
বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয়
বলেই মুশফিকুর রহিমের (১) উইকেট তুলে
নেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের
অন্যতম সেরা স্পিন জাদুকর
রশিদ খান।
মাহমুদউল্লাহর
সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাওয়া
আফিফ হোসেনও (১২) কাটা পড়েছেন
তার বলেই। মুশফিক-আফিফ দুজনকেই লেগ
বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরের পথ
চিনিয়েছেন রশিদ। মাত্র ৫৩ রানে ৫
উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। আফগানদের
বিপক্ষে এর আগে কখনো
এত কম রানে ব্যাটিং
লাইনআপের অর্ধেক হারায়নি টাইগাররা।
রশিদের
বলে সাজঘরের পথ ধরার আগে
পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ২৫ বলে ২৫
রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ।
এরপর ষষ্ঠ উইকেট মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেকের ৩১ বলে ৩৬
এবং সপ্তম উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক-মেহেদী হাসানের ২৪ বলে ৩৮
রানের জুটিতে ১০০-পার করে
মাঝারি মানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ
এই পুঁজি পেয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের ঝড়ো ব্যাটে চড়ে।
৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি
আর ১ ছক্কায় ৪৮
রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। এছাড়া
মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে গুরুত্বপূর্ণ
২৫ আর শেষদিকে শেখ
মেহেদি ১২ বলে ২
চারের সাহায্যে করেন ১৪ রান।
মোসাদ্দেক
উইকেটে আসার পর ঠিক
টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটাই করেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত
ফিফটিটা পাননি এবং সেটা নিজের
ভুলেই। আফগান মিডিয়াম পেসার ওমরজাইয়ের করা শেষ ওভারে
তিন বল খেলে মাত্র
২ রান নিতে পারেন
মোসাদ্দেক।
আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান আর রশিদ খান।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭