ইনসাইড বাংলাদেশ

মুখে দেশপ্রেম, আড়ালে দেশ বিরোধী প্রচারণা


প্রকাশ: 31/08/2022


Thumbnail

গত ২৫ আগস্ট বিশ্বের মানবাধিকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। বরং মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ঘটনা ফলাও করে তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তা অনন্য নজির হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
 
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে দেশের সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে যে প্রতিনিধি দল মিশেলের সঙ্গে বৈঠক করেছে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন প্রকাশের বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দেশে ২০ টি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওই সাক্ষাতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশে সুশীল সমাজ হিসেবে পরিচিত। যারা নিজেদের মানবাধিকার রক্ষক হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু মানবাধিকার রক্ষকের আড়ালে তাদের উদ্দেশ্যের বিষয়টি এখন বারবার সামনে আসছে।

মিশেলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন 'মায়ের ডাক' সংগঠনের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলি। যে সংগঠনটি বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র। যিনি বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন। যিনি ডেভিড বার্গম্যানের স্ত্রী। ডেভিড বার্গম্যান যিনি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সাংবাদিকতা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে সেদিন যারা মিশেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তারা তাদের নিজ নিজ সেক্টরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

বৈঠকে তারা বাংলাদেশে আইনের বৈষম্য, নারীর প্রতি সহিংসতা, কার্যক্রম চালানো এনজিওগুলোর কাজে বাধা, আসন্ন নির্বাচন, গণতন্ত্রের অবস্থা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা, প্রতিবন্ধীদের অধিকার, সংখ্যালঘুদের অধিকার, আদিবাসীদের অধিকার, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন বিষয় মিশেল ব্যাচেলেটের কাছে তুলে ধরেছেন। অথচ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাদের অভিযোগগুলো উঠে আসেনি। অর্থাৎ বৈঠকে তারা মিশেলের কাছে যে সমন্ত অভিযোগ করেছেন তা তাদের নিজেদের কল্পনাপ্রসূত। যা মিশেলে বিবেচনায় উঠে আসে এবং এ কারণে তিনি প্রতিবেদনে তা অন্তভূক্ত করেননি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মুখে দেশেপ্রেমের কথা বললেও যারা নালিশ করেন, তারা দেশের নয় রাজনৈতিক স্বার্থে বহির্বিশ্বে চাপ তৈরির চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জাতিসংঘ বিষয়টি ভালোভাবে যাচাই বাচাই করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্লেকরা বলছেন, দেশ ভালো চলছে না, দেশ ভালো নেই, মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো নেই,’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যারা এমন বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তাদের এ ধরনের কার্যক্রম রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম কিনা সেটাও ভাবার সময় এসেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭