বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে- এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আমাদের দেশের প্রায় সব গণমাধ্যম। এ সমস্ত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হচ্ছে যে, এক ই–মেইল বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শ্যামদাসানি। কিন্তু মেইলের সেই টেক্সট কোথায় এবং কার কাছে আছে? এটার উৎস কোথায়? ই-মেইল দিয়ে কোনো রিপোর্টের কাউন্টার হয় না।
মিশেল ব্যাচেলেটের বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে বলে দাবি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শ্যামদাসানি। তার এই দাবির কথা দেশের গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ড. সেলিম মাহমুদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. সেলিম মাহমুদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিং।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, দেশের প্রায় সব মিডিয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এক ই–মেইল বার্তায় মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শ্যামদাসানি বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু এটা অথেনটিক কতটুকু। একটি ই-মেইল একটি ঘটনার অথেনটিক হতে পারে না। এর আগে গত ২৫ আগস্ট তারা দেশের মানবাধিকার নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মিশেল ব্যাচেলেটের বক্তব্য যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার করে থাকে তাহলে সেটার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েই জানানোর কথা। কিন্তু সেটা হয়নি। তাহলে সেই ই-মেইল যে অথেনটিক সেটা কিভাবে প্রমাণিত হবে।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো ই-মেইল করেসপন্ডেন্ট দিয়ে কোনো সিদ্ধান্তকে যাচাই করা যায় না। আমরা এই ই-মেইলের ব্যাপারে খোজঁ খবর নিব। প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্ঠা করবো।