সাত্তার সাহেবের পুরোনো দু’তলা একটি বাড়ি রয়েছে। এ বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে মেয়ে ঝুম্পাকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। অনেক আগে সাত্তারের স্ত্রী মারা গেছেন। তারপর থেকে ঝুম্পা এ সংসার সামলে রাখেন। সংসার সামলাতে গিয়ে তার পড়াশোনা বেশি দূর আগায়নি।
খুব বেশি মানুষের সঙ্গে মেলামেশাও করেন না ঝুম্পা। নিজের কাজ শেষে একটি পুরোনো গল্পের বই নিয়ে ছাদের কোণায় বসে থাকে। মাঝে সাঝে একা একাই কাকপাখির সঙ্গে কথা বলেন। ছাদের কোণায় দু’ কামরার চিলেকোঠায় ভাড়া থাকতেন বয়স্ক এক হস্ত বিশারদ। তার সঙ্গে মাঝেসাঝে জমিয়ে আড্ডা দিতেন ঝুম্পা। কিন্তু ওই চিলোকোঠায় নতুন ভাড়াটে এসেছে এক যুবক। কেমন যেন কঠিন চোখে মাঝে মাঝে ঝুম্পার দিকে তাকায় সে।
‘চঞ্চলের চোখ অভিনয় শেখার প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করা উচিত’‘চঞ্চলের চোখ অভিনয় শেখার প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করা উচিত’
ঝুম্পা প্রথমদিকে দু’একবার তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মুখটা অমন শক্ত করে রাখলে কখনো কারো সঙ্গে কথা বলা যায় নাকি? কিন্তু একদিন সেই অদ্ভূত লোকটি নিজেই এগিয়ে গিয়ে ঝুম্পার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। ঝুম্পার সঙ্গে দ্রুত একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় ফয়সাল নামে এই যুবকের।
মূলত, চাকরির খোঁজে ঢাকায় এসেছেন ফয়সাল। অনেকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কিছু হয়নি। তাই দিনের পর দিন হোটেলে না থেকে এই চিলেকোঠা ভাড়া নেন তিনি। যদিও দিন দিন পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে তার। এসব জেনে মায়া হয় ঝুম্পার; পরে ফয়সালের খাবারের দায়িত্ব নেন। সময়ের সঙ্গে ফয়সালের প্রতি একটা টান অনুভব করেন ঝুম্পা। তারপর গল্প মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।
এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে একক নাটক ‘যে গল্প বলা হয়নি’। পান্থ শাহরিয়ার রচিত এ নাটক পরিচালনা করেছেন জহির খান। এতে ঝুম্পা ও ফয়সাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিকা কবীর শখ, আব্দুন নূর সজল। এছাড়াও অভিনয় করেছেন, সোহেল খান, বাসার বাপ্পী প্রমুখ। ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টায় চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে নাটকটি।